ঢাকার ইকোসিস্টেমে তখন মশাদের সাথে মানুষের বেঁচে থাকবার প্রবল লড়াই। যুগের পর যুগ মানুষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে মশাদের ধৈর্য্যর বাঁধও ভেঙে গেছে। তাই তাঁরা মানুষদের বিরুদ্ধে শুরু করেছে নতুন প্রতিরোধ, নেমেছে (নাকি উড়েছে?) নতুন মিশনে। মিশনের নাম মিশন 'মশা মারতে কামান'।
এলিয়েন যেমন নেমে আসে শুধু নিউইয়র্কেই, মশারাও তাদের নতুন মিশন হিসেবে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকাকেই বেছে নিল। মশা এবং মানুষদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় প্রবল যুদ্ধ। মশাদের নৃশংস বাহিনী একের পর ঘায়েল করে দেয় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট সবকিছু! একের পর এক আক্রমণে মানুষ ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ নানা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে। এই মশাদের দমন করবার জন্যে ঢাকার মেয়র পূর্বে নানা রকমের ব্যবস্থা নিলেও, তাতে করে বিশেষ কোন লাভ হয় নি! মশাদের সঙ্গে মানুষের এই বেঁচে থাকার প্রতিযোগিতা বাসের অযোগ্য ঢাকা শহরকে করে তোলে বাসের আরও অযোগ্য! মশার মিনিমাম সমস্যা চলে যায় ম্যাক্সিমাম পর্যায়ে!
ঠিক এমন সময়, ঐ মহামানব আসে! এমন সংকটমুহুর্তে কিছু মানুষ গড়ে তোলে প্রতিরোধ। ঢাকার সেরা এজেন্সি 'উত্তর সিটি কর্পোরেশন'-এর প্যানেল মেয়র সদস্য আলেয়া সারোয়ার ডেইজীর নেতৃত্বে একটি গেরিলাবাহিনী রুখে দাঁড়ায়, প্রিয় রাজধানীকে মশার ভয়াল রাজত্ব থেকে মুক্ত করতে! শুরু হয় ধুন্ধুমার অ্যাকশান, ঘাত-প্রতিঘাত, কখনো কয়েল কিংবা কখনো ক্ষেপণাস্ত্রের যুদ্ধ। যে যুদ্ধে কে জয়ী হলো? মশারা, নাকি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন? নায়ক মশাটি কি পারবে ডেইজি দ্য War-এর হাত থেকে বাঁচতে? মশারা কি প্লেনের টিকিট কেটে যেতে পারবে অন্য কোন বাসযোগ্য শহরে? কি হবে এরপর? জানতে হলে দেখতে হবে শ্বাসরুদ্ধকর সামাজিক ককটেল জাতীয় পলিটিকাল থ্রিলার মুভিটি!
এই সিনেমাটির সবচেয়ে অদ্ভুত সুন্দর ব্যাপারটি হলো, সিনেমাটি দেখতে আপনাকে হলেও যেতে হবে না। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা হলে যে কোনোদিন এই সিনেমার শুটিং-এর মহড়া হুটহাট আপনার বাসার রাস্তার সামনেও দেখতে পারেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন