মাননীয় স্পিকার,
আমি শুয়োরের বাচ্চা।
আমার বাবাও শুয়োরের বাচ্চা, সে এখন নিশ্চয়ই ঘুমাচ্ছে।
আপনাদের সংসদ খালি পড়ে আছে মাননীয় স্পিকার। তাই ভাবলাম, এই ফাঁকে আমার কথাগুলো বলে যাই।
মাননীয় স্পিকার,
বিশ্বাস করতে আপনার কষ্ট হতে পারে। কিন্তু মাননীয় স্পিকার, বিশ্বাস করেন, আপনাদের দুনিয়ার নয়-ছয়ের সাথে আমার, আমার বাপের কিংবা আমার দাদা কিংবা আমাদের বংশের সবচেয়ে সিনিয়র শুয়োরের কারোরই কোনো সম্পর্ক নাই।
আমরা ঘাস-লতা-পাতা খাই, বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে ঘুমাই। আবার খাই। আবার ঘুমাই। ঘুম আমাদের অত্যন্ত প্রিয় কাজ। গল্প উপন্যাসে আমাদের কথা লেখার সুযোগ থাকলে হুমায়ূন আহমেদের মতো সাহিত্যিকরা হয়ত আমাদের নাম দিত ‘ঘুমকুমার’।
আপনাদের পৃথিবী সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না মাননীয় স্পিকার। আপনাদের সম্পদ, আদর্শ, ধর্ম কোনো কিছুর সাথেই আমাদের কোনো সংযোগ নাই। কোনো বিদ্বেষ নাই। কোনো ঘৃণা নাই।
মাননীয় স্পিকার, আমরা নিষ্পাপ। এতটাই নিষ্পাপ যে, আমাদের ঘুমের মধ্যেও স্বপ্নদোষ হয় না।
আমাদের মাংসও মাননীয় স্পিকার খারাপ না। যারা খেয়েছে, তারা প্রশংসা করেছে। অনেকে পছন্দও করে। ফুডভ্লগাররা আমাদের মাংস খেয়ে জুসি, টেন্ডারও বলে মাননীয় স্পিকার।
মাননীয় স্পিকার,
এরপরও মাননীয় স্পিকার, আপনারা বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ, শতকের পর শতক আমাদের কোনো দেন-দরবার না থাকলেও আমাকে তকমা দিয়েছেন নিকৃষ্ট।
তবে মাননীয় স্পিকার, আপনাদের দুনিয়া সম্পর্কে আমার কোনো জানাশোনা নাই দেখে মাননীয় স্পিকার, আপনাদের এই ঘৃণায় আমার কিছু আসে যায় না মাননীয় স্পিকার। হাহাহাহাহাহা।
কিন্তু মাননীয় স্পিকার, আমি ছাড়াও আপনারা আরও অনেকের নামে এমন বিদ্বেষ ছড়ান, ঘৃণা ছড়ান। তাদের অনেক কিছু আসে যায় মাননীয় স্পিকার। তাদের জীবননাশ হয়। তারা আপনাদের কোনো ক্ষতি না করলেও আপনাদের ঘৃণা তলোয়ার হয়ে তাদের গলা কর্তন করে।
মাননীয় স্পিকার, আপনাদের ঘৃণা সামলান, তাহলে তলোয়ার সামলে যাবে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন