সোহাগ করে স্ত্রীকে বানিয়ে দিলেন দুধ চা, এরপরই ডিভোর্স

২৮৯ পঠিত ... ১৭:৪৭, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪

13

সোহাগ করে একে অন্যের জন্য কতকিছুই করেন স্বামী স্ত্রীরা। বিনিময়ে সবার কপালেই কি অ্যাপ্রিসিয়েশন বা কৃতজ্ঞতা জোটে? না, প্রিয় পাঠক। এখনও আমাদের সমাজে অনেক ইঁদুরকপালে আছেন যারা এই সমস্যার সমাধান করতে পারেননি। এমনই এক হতভাগ্যের কথা ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভদ্রলোকের নাম সোহেল (ছদ্মনাম), বয়স ৩৩। সেদিন ছিল তার প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্মদিন। ঘুম থেকে উঠেই স্ত্রীর জন্য টাটকা দুধ চা বানালেন সোহেল৷ জন্মদিনের শুরুটা একটুখানি সারপ্রাইজ দিয়ে করতে পারলে মন্দ কী!

আড়মোড়া দিয়ে ঘুম ভাঙল সোহেলের স্ত্রী অনুর (ছদ্মনাম)। ততক্ষণে বাইরে রোদ উঠে গেছে, পাখির কিচিরমিচির শোনা যাচ্ছে। এত সুন্দর, পারফেক্ট রঙা চা অনুর মনটা ভালো করে দিল। সকাল ছেঁয়ে গেল অদ্ভুত এক ভালো লাগায়। অনুর মনে হলো, সারাদিনটাই ভালো যাবে।

সোহেল চায়ের কাপ হাতে মিটিমিটি হাসছে। স্ত্রীকে খুশি করতে পারা স্বামীর জীবনের অন্যতম অর্জন। সুড়ুৎ করে চায়ের কাপে মুখ দিল অনু। ভিন্নরকম স্বাদ, সে ঠিক ঠাওরে উঠতে পারল না। কিছু একটা ডিফরেন্ট লাগছে। তবুও সে খেল। অর্ধেক খাবার পর সোহেল জিজ্ঞেস করল, দুধ মিক্স এত ছোটো বোতলের মধ্যে রাখো কেন? চাপ দিয়ে দিয়ে বের করা লাগে…

সোহেল কী বলছে তা বুঝতে অনুর পাঁচ সেকেন্ড লা... কাঁপতে কাঁপতে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দেখল ডিওরের নতুন ফাউন্ডেশনটা খালি, পড়ে আছে মাটিতে। এ দৃশ্য সহ্য করার মতো ক্ষমতা অনুর ছিল না। সে মাথা ঘুরে পড়ে গেল। তার জ্ঞান ফিরল দুইদিন পর। জ্ঞান ফেরার পর প্রথম যে কাজটা করল তা হচ্ছে ডিভোর্স ফাইল।

এদিকে সোহেল এখনও অন্ধকারে। তার জীবনে কী ঘটছে, কেন ঘটছে কিছুই বুঝতে পারছে না। তিনি কাঁদতে কাঁদতে earki-র প্রতিবেদককে বলেন, সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে গেলাম। এখনও বুঝতে পারছি না অপরাধটা কী! মনে হচ্ছে আমি কোনো চক্রান্তের শিকার।

২৮৯ পঠিত ... ১৭:৪৭, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top