গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে শহর যেন পরিণত হয়েছে এক জল-কাদার সাগরে। এই সুযোগে আমাদের চোখে ধরা পড়েছে এক নতুন প্রজাতির মানুষ, যাদের সবাই ডাকছে ‘কাদামানব’ নামে। এই অদ্ভুত দর্শন মানুষদের শরীরের প্রতিটি ইঞ্চি কাদায় মাখানো, আর তাদের হাঁটা-চলা দেখে মনে হয় যেন কাদার ভেতরেই জন্ম নেওয়া, বেড়ে ওঠা।
প্রতিদিন নতুন কাদামানবদের দেখা মিলছে। এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো— বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর সঠিক সময়ে পানি না পেয়ে এই অবস্থা তাদের। নোংরা হয়ে বৃষ্টির পানির জন্য অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত এরা এখন পথে পথে শুধু হাঁটছে, আর ঠোঁটে ক্ষীণ এক ফিসফিসানি, বৃষ্টি কই? বৃষ্টি আনো! বৃষ্টিতে আরেকটা গোসল না দিলে কাদা যাবে না শরীর থেকে।
অন্যদিকে, শহরের অ্যানথ্রোপলোজিস্টরা ভীষণ উত্তেজিত। এক গবেষকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ তো এক জীবন্ত উদাহরণ! ভবিষ্যতে কীভাবে মানুষ কাদায় বসবাস করবে তার ইঙ্গিত! আমরা গবেষণার এক অনন্য সুযোগ পাচ্ছি। ভবিষ্যত প্রজন্মের কাদার সঙ্গে অভিযোজন কেমন হবে, তা সরাসরি দেখতে পারছি!
এখন শহরের সব কাদাপূর্ণ জায়গায় অ্যানথ্রোপলোজিস্টদের ক্যামেরা আর নোটবুক নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তাদের মতে, এই কাদামানবরা প্রকৃতির এক বিশেষ সৃষ্টি, এবং এই ঘটনাটি মানবজাতির ইতিহাসে বড় অধ্যায় হয়ে উঠতে পারে।
শহরের সবাই আশায় বুক বাঁধছে— হয়ত একদিন এই কাদামানবরা ঠিকই প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে ফেলবে। কিন্তু, তার আগে বৃষ্টির কিছু ব্যবস্থা হওয়া দরকার, নইলে শহর ভাসতে বসেছে কাদায়!