পুরো বর্ষা সিজনে হাফ প্যান্টকে সরকারি পোশাক ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন চাকরিজীবীদের একাংশ। বৃষ্টি নামলেই ঢাকার খালে পরিণত হওয়াকে মাথায় রেখে, এমন দাবি জানিয়েছেন বলে জানা যায়। গত কয়েকদিনে নিজের প্রায় সবগুলো ফুল প্যান্ট ভিজে গিয়েছে এমন এক চাকরিজীবী ভাই সাঁতার কেটে অফিস যেতে যেতে আমাদের বলেন, ঢাকা এখন আর ঢাকা নাই এইটা ভেনিস হইয়া গ্যাছে। ভেনিস যখন হইছেই, ভেনিসের লোকেরা তো হাফপ্যান্ট পরে, আমরা পরলে কী দোষ? আমার তো মনে হইতাছে কিছু কিছু এলাকায় হাফ প্যান্টও না, ডিরেক্ট সুইম স্যুটরে অফিশিয়াল পোশাক কইরা দেওয়া উচিত।
হাফ প্যান্টকে সরকারি পোশাক ঘোষণার এই দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন, দেশি পোশাক শিল্প মালিক সমিতির লোকজনও। দরকার হলে পুরো বর্ষাজুড়ে ফুল প্যান্টের প্রোডাকশন বন্ধ করে হাফ প্যান্টের প্রোডাকশন চালাবেন তারা। এতে জনসেবার কথা উল্লেখ করলেও নিজেদের ব্যবসায় সবুজবাত্তি জ্বলার প্রসঙ্গ আসলে চুপ হয়ে যান তারা।
তবে হাফ প্যান্টের এই দাবিকে ফ্যাসিস্ট দাবি উল্লেখ করে এর বিরোধিতা করেছে নিখিল বাংলা ফুল প্যান্ট লাভার সমিতি। তাদের দাবি, বাধ্যতামূলক হাফ প্যান্ট পরানোর মতো ফ্যাসিস্ট আচরণ করলে তারা প্যান্ট খুলে অফিস করবেন। পোশাক যার যার নিজের অধিকার লেখা সম্বলিত একটি পোস্ট এই সমিতির ফেসবুক পেজে আপলোড হলে সেখানে হাফ প্যান্ট লাভাররা, বাপরে শখের তো কমতি নাই লেখা মিমটি কমেন্ট করতে শুরু করে। পরবর্তীতে অনলাইনে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে সুযোগ পেয়ে বাস্তবের মতো সেখানেও লুঙ্গি লাভাররা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।