আজ কবিগুরুর ১৬২তম জন্মবার্ষিকী। ইহকালে তো কবি বিশ্বখ্যাতই, খ্যাতি অর্জন করেছেন পরকালেও। সবচেয়ে বেশি বয়সে মৃত্যুর পর প্রথমবার ভোট দিতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জন্মবার্ষিকীর সাক্ষাৎকারে জানালেন সেই অনুভূতির কথাও।
২০১৪ সালের শান্তি নিকেতন ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মৃত্যুর পর প্রথমবারের মতো ভোট দেন রবীন্দ্রনাথ৷ এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ভোট দেয়ার মর্যাদাও অর্জন করেন তিনি৷
সেই দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেন, 'পরকালের এক সকালে প্রাতরাশ সেরে সবে মাত্র শরীরটা এলালাম। নজরুল এসে বললো, “বস asap চলেন খ্যাপ আছে।” জিজ্ঞেস করলাম, “কীসের খ্যাপ?”“ বলে, “ভোটের খ্যাপ।“
আসলে নজরুল তো বেশ পোংটা। ও এইসবের খোঁজ খবর রাখে৷ কবরে আসার পরের বছরই নাকি ও ভোট দিছে৷ পরে আমাকেও নিয়ে গেলো৷ আমি দুইটা জাল ভোটও দিছি। কাউরে কইয়েন না।'
শান্তিনিকেতনের ভোটাধিকার নিয়েও কথা বলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, 'আপনারা যে বলেন, শান্তি-নিকেতনে ভোটাধিকার নাই—এটার কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবেন? যে দেশে মৃত মানুষও ভোট দিতে পারে সে দেশের ভোটাধিকার নিয়ে আপনি কীভাবে প্রশ্ন তুলতে পারেন? হাও ম্যান?'
শান্তিনিকেতনের ২০২৩ সালের নির্বাচনেও আগের মতোই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশে ভোট দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে রবীন্দ্রনাথ বলেন, 'সামনের নির্বাচনে ভোট দেয়ার ইচ্ছা আছে। ভাবতেছি, এবার যাওয়ার সময় হুমায়ূনকে নিয়ে যাবো৷ ও অনেকদিন ধরে ভোট দেয়ার ইচ্ছার কথা বলতেছে।'