ইতোপূর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁসের পেছনে প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়াকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। কঠিন প্রশ্ন হলে আগেই প্রশ্ন ফাঁস করার দাবিও জানানো হয়েছিল একটি ফেসবুক ইভেন্ট খোলার মাধ্যমে। পিছিয়ে নেই ভারতের স্কুল শিক্ষার্থীরাও। কঠিন গার্ডের কারনে ঠিকঠাক পরীক্ষা না দিতে পারায় ক্ষুব্ধ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থী সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি তুলেছে, পরীক্ষায় যেন সহজ থেকে 'সহজতর' গার্ড দেয়া হয়।
এই শিক্ষার্থীর ভাষ্য অনুসারে, আগেরদিনের পরীক্ষায় গার্ড সহজ ছিল, স্যার ম্যাডামরা একে অন্যের খাতা দেখে কিংবা বই দেখে লেখার 'মহান' এবং 'সৃষ্টিশীল' কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। এমনকি হলে পরিদর্শক আসার আগে নিজেরাই শিক্ষার্থীদেরকে সতর্ক করে দিয়েছেন। (এই শিক্ষকেরা আমাদের শৈশবে কোথায় ছিলেন?) শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পরীক্ষা খেলে বড্ড আনন্দ পেয়েছিল সেদিন।
কিন্তু সেই সুখ আর থাকে না পরের পরীক্ষায়। গার্ড অত্যন্ত কড়া হওয়ায় তারা অতি বিরক্ত। স্যার কাউকে ঘাড়টাও ঘোরাতে না দেয়ায় কেউ পাশ মার্ক পর্যন্ত তুলতে পারেনি। এই ভীষণ 'অন্যায়ে' ক্ষুব্ধ হয়েই সংবাদমাধ্যমের কাছে বিচার দেয় জনৈক এই শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীর ভাষায়, এত কঠিন গার্ড হলে পরীক্ষা দেব কী করে?
সবশেষে পরীক্ষার হলে দেখাদেখি করা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার, এমন ভঙ্গীতে আগের দিনের মত সহজ গার্ড দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে সংবাদমাধ্যমের কাছে।
আমাদের পথ ধরে প্রতিবেশী দেশের শিক্ষাব্যবস্থায়ও এমন ভীষণ উন্নতিতে eআরকির পক্ষ থেকে রয়েছে গভীর সমবেদনা। তবে এই ঘটনার ভেতরও পজিটিভিটি দেখছেন ওই শিক্ষার্থীর এক শিক্ষক। তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছে, অন্তত আমাদের শিক্ষার্থীদের তো আমরা মুখের উপর সত্য কথা বলা শেখাতে পেরেছি। সেটাই বা কম কি?
দেখুন সেই ভিডিও--