দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলতে যাচ্ছে স্কুল-কলেজ। হগওয়ার্টস ভিত্তিক ম্যাগাজিন ‘স্পেলবাউন্ড’ মারফত আমরা জানতে পারি, খুলতে যাচ্ছে হ্যারি পটারের স্কুল হিসেবে বিখ্যাত 'হগওয়ার্টস'ও! তবে জানা গেছে, এই দেড় বছরে বিশাল ক্রাইসিসের মুখে পড়েছে হ্যারি পটার। কোনো স্পেলই তার ঠিকঠাক মনে নেই। শুধু হ্যারিই নয়, এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে হগওয়ার্টসের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই। গোপন সূত্রে জানা গেছে, এই লকডাউনে আবারও হ্যারির চশমা ভেঙে যায়। ওই মুহুর্তে তার সাথে ছিলো হারমায়োনি গ্রেঞ্জার।
হারমায়োনি ব্রোকেন গ্লাস ঠিক করার স্পেল ‘Reparo’ না বলে চিৎকার করে ‘Revelio’ বলে৷ কোনো কাজ না হওয়ায় বেশ বিব্রতবোধ করে হারমিওন। হ্যারি সান্ত্বনা দেওয়ার ভঙ্গিতে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে 'কোথাও একটা ভুল হইতেছে মনে হয়। একটু চেক করা দরকার... আমার ঝাড়ুটাও আকাশে উড়তেছে না...'
হগওয়ার্টস স্কুলের হেডমাস্টার আলবাস ডাম্বলডোর eআরকিকে জানান, 'ডরমিটরিগুলো ধোয়া মোছা চলছে। সবাইকে ভ্যাকসিন না দেওয়া পর্যন্ত কিছুই খোলা হবেনা। এতদিন খুব মিস করেছি সবাইকে। কতদিন গ্রিফিন্ডরকে পয়েন্ট দেই না। এখন ভীষণ আনন্দ হচ্ছে....'
তিনি আরও জানান, 'N.E.W.T (Nastily Exhausting Wizarding Test) এবং O.W.L (Ordinary Wizarding Levels) পরীক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে আসবে। দেড় বছরের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে দেবার জন্য প্রয়োজনে বিশেষ কোচিং এর ব্যবস্থাও করা হবে। চিন্তার কোনো কারণ নেই। আর বাকি বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রথম অর্ধেক-দ্বিতীয় অর্ধেক করে সপ্তাহে দুইদিন ক্লাস করবে...'
এছাড়াও জানা গেছে, ছাত্র ছাত্রীদের ভ্যাক্সিন দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছে ম্যাডাম পমফ্রে'র উপর। ফাইজার নাকি সিনোফার্ম— কোন টিকা দেওয়া হবে, এই নিয়ে এখনো চলছে বিতর্ক। এদিকে গ্রিফিন্ডর হাউজের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, 'আমরা গ্রিফিন্ডর, আমরা সাহসী। ড্রাগন ট্রাগনকেই ভয় পাই না, সামান্য করোনাকে ভয় পাবো কেন...?'
তবে এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্তে অটল ডাম্বলডোর। গ্রিফিন্ডর হাউজের এক পয়েন্ট কেটে নিয়ে তিনি বলেন, 'টিকা সনদ দেখানো ছাড়া কেউ ক্লাসে ঢুকতে পারবে না...'