হার্ভাডের অ্যাডমিশন টেস্টে প্রশ্নফাঁসে মেধাবী ছাত্ররা খেলো সুপারকট

৩০৪ পঠিত ... ১৮:০৬, জুলাই ০৯, ২০২৪

11

আপনারা হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনে থাকবেন। এর সুনাম নতুন করে করার কোনো প্রয়োজন নেই। এই সময়ের বাবা-মা তাদের সন্তানকে স্কুল জীবন থেকেই স্বপ্ন দেখান, হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর। এখানে একবার চান্স পাওয়া মানেই সরকারি চাকরি নিশ্চিত।

হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা পৃথিবীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থার চেয়ে উন্নত। এখানকার শিক্ষকরাও জানেন না আগামীকালের পরীক্ষায় কী প্রশ্ন আসবে! একদম পরীক্ষার আগে আগে প্রশ্ন প্রিন্ট করে নিয়ে যান পরীক্ষার হলে।

বেশ ভালো ভাবেই চলছিল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়। বছরের পর বছর ছাত্ররা আসে, পড়াশোনা, গবেষণা ইত্যাদি করে কর্মক্ষেত্রে ঢুকে যায় যে যার মতো। হাল ধরে দেশের শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি প্রশাসন, পুলিশ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়।

হঠাৎ একদিন খবর এলো প্রশ্নফাঁস হচ্ছে হাভার্ডে। প্রশ্ন আনা নেওয়ার সময় ড্রাইভার ও কিছু পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্মকতা যোগসাজশ করে বিক্রি করে দিচ্ছে ছাত্রদের কাছে। তাদের প্রশ্নের চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিল। ৪০০ আসনে ৭০০টা প্রশ্নও বিক্রি হয়ে যায় কয়েকবার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা প্রশ্নফাঁস করলেও নিরপেক্ষ পরীক্ষায় বিশ্বাসী। এজন্য ৪০০ আসন হলেও এর চেয়ে বেশি প্রশ্ন বিক্রি করেছি।

অন্যদিকে যারা প্রশ্নফাঁস ছাড়া ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন আজীবন, তাদের মাথায় হাত। প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগও নেই তাদের। অনেকেই নিজের করুণ দুর্দশার কথা ফেসবুকে শেয়ার করে আনমনে ভাবছেন, কেন তার বাবা দুর্নীতি করেন না! একজন দুর্নীতিবাজের সন্তানের মতো সুযোগ সুবিধা নাই বলেই হার্ভাডে ভর্তি হয়ে দেশের প্রশাসন ব্যবস্থায় যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে না তার।

অন্যদিকে এক উদীয়মান হার্ভাডিয়ান চলে এসেছেন দৃশ্যপটে। একটি ফেক আইডি থেকে তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস হলেই যে আপনার চান্স হবে না এমন না। আমি আপনাদের ক্যাল্কুলেট করে দেখাব, প্রশ্নফাঁস হওয়ার পরও আপনি কীভাবে চান্স পেতে পারেন। নিচে আমার ওয়েবিনারের লিংক। হার্ভাডে চান্স পেতে চাইলে আজই পেমেন্ট করে রাখুন।  

৩০৪ পঠিত ... ১৮:০৬, জুলাই ০৯, ২০২৪

Top