বৃহস্পতিবার রাতের এক বিশেষ বার্তায় প্রকাশ পেলো নটরডেম ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি ২০২৪ সালের ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়া ১০০০ ডেমিয়ানের মধ্যে ৬৮৭ জনই বুয়েটিয়ান। এমন অভূতপূর্ব সাফল্যে চারদিকে জয়জয়কার পড়ে গেছে এই প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠানটির।
প্রথম স্থান অধিকারকারী নটরডেমিয়ান (সাবেক বুয়েটিয়ান) এক কাল্পনিক সংবাদমাধ্যম কে বলেন, ‘বুয়েটে যখন ভর্তি হই তখন থেকেই স্বপ্ন ছিলো নটরডেমে পড়বো। আশেপাশে যখন কাউকে শুনেছি নটরডেমে পড়ে, তাদের কাছ থেকে গাইডলাইন নিয়েছি, অনুপ্রেরণা নিয়েছি। এছাড়া আপনারা জানবেন প্রতিবছরই বুয়েট থেকে একটা বড় সংখ্যক ছেলেমেয়ে নটরডেমে চান্স পায়। তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ তো ছিলোই....’
প্রতিবছর কেনো বুয়েট থেকেই কেনো এত সংখ্যক ছেলে মেয়ে নটরডেমে চান্স পায় এই নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। কেউ কেউ তাদের দিকে তুলছেন প্রশ্নফাঁসেরও আঙুল।
বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী একে চাং বলেন, '২০০-৩০০ শিক্ষার্থী চান্স পেলেও একে ন্যাচারাল ধরে নেওয়া যেতো, কিন্তু ৬৭৬ ইজ ঠু মাচ আনন্যাচারাল...’
এর পালটা জবাবে উত্তর দিয়েছেন বুয়েটের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘বুয়েটে ঢোকার প্রথম বর্ষ থেকেই ছাত্রছাত্রীদের নটরডেমের জন্য গ্রুমিং করি। আমাদের ছাত্ররাও ভীষণ পরিশ্রমী, আমাদের কথা শোনে। তাদের পরিশ্রম, সাধনা এবং সদিচ্ছার জন্যই প্রতিবছর বুয়েট স্পেকটাকুলার রেজাল্ট করে। আর বাকীরা যে যা বলছেন, সবই হিংসার বশবর্তী হয়ে। আগে নটরডেমে চান্স পেয়ে দেখান.... ’
শুধু তাই নয়, প্রতিবছর বুয়েট থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী চান্স পান উদ্ভাসের তুখোড় ব্যাচেও। এ নিয়েও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো ভীষণ অনিরাপত্তায় ভুগে থাকেন। তবে সব কাহিনী পেছনে ফেলে এরকম বৃহৎ সংখ্যক ছাত্র নটরডেম, উদ্ভাসে চান্স পাওয়ার আসল কাহিনী উন্মোচন হওয়ার অপেক্ষায় আছেন চান্স না পাওয়া অসংখ্য ছাত্র।