১৯২৯ সালে প্রথম বাজারে আসে কোমল পানীয় সেভেন আপ। তবে শুরু থেকেই কোকাকোলা এবং আরো কোমল পানীয়ের ভিড়ে বাজারে নিজের স্থান পোক্ত না করতে পারলেও, ২০১৪ সালের সেমিফাইনালে ব্রাজিল বনাম জার্মানির ম্যাচের পরেই সেভেনআপের ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং এর দায়িত্ব নিজেদের ঘাড়ে তুলে নেয় ‘বৃহত্তর আর্জেন্টিনা সমর্থক সংঘ’।
মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং এ বাংলাদেশে এর আগে কেবল মাত্র ডেসটিনিই পেরেছিল নিজেদের এমন উচ্চতায় নিয়ে যেতে। আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা জীবন বাজি রেখে ফেসবুক, টুইটারসহ সকল ধরণের মাধ্যমে মার্কেটিং চালাতে থাকে। এত দুর্দান্ত মার্কেটিং এর বিনিময়ে কেউ কখনো একটি টাকাও নিয়েছে বলে জানা যায়নি।
এমন স্বার্থহীন ফ্যানবেজ আছে যে পানীয়ের, তার কি আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়? সবকিছুতেই পশ্চাদ্দেশের মত বিভক্ত হওয়া বাংলাদেশিদের একটা বড় অংশের প্রিয় পানীয় হয়ে ওঠে সেভেন আপ। তবে অবশেষে সেভেন আপের বাজার পুড়িয়ে দিতে বাজারে এসেছে নতুন এক পানীয়, যা কিনা তৃষ্ণা মেটানো, মন ভরানো বা প্রতিশোধের স্পৃহা নেভানোতে নিমেষেই জয় করে নিয়েছে সব ব্রাজিল সমর্থকের হৃদয়।
সেই মন মাতানো ড্রিংক্সের নাম হলো থ্রিআপ। এই বিষয়ে থ্রিআপ বাজারজাতকরণে ব্যস্ত এক ব্রাজিল সমর্থকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই পানীয় খেতে হালকা ঝাল লাগতে পারে। যার প্রধান কারণ হলো এই পানীয় বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে ম(ড)রিচ। ভবিষ্যতে আরো সাইজে এই ড্রিংক্স বাজারে আনার পরিকল্পনা থাকলেও শুরুতে থ্রিআপ পাওয়া যাবে শুধুমাত্র ৬২৫ মিলি বোতলে। যার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শুধুমাত্র ৫টা কাপ যাদের আছে, তারাই এক সাথে যেন এই ড্রিংক্স খেতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা (এক কাপ = ১২৫ মিলি)।
তবে সেভেন আপ বাজারজাতকারি আর্জেন্টিনা ভক্তরা বিএসটিআই এর কাছে আবেদন জানিয়েছে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এই পানীয় শীঘ্রই বাজার থেকে তুলে নিতে। তবে বাজারে গত চার বছর বিএসটিআই এর আদেশ উপেক্ষা করে বাজারে সেভেনআপ চালানোর শাস্তি হিসেবে বিএসটিআই থ্রিআপ বাতিল করবে না বলে গোপন সুত্রে জানা গেছে। আমরা বাজারে থ্রিআপ এর বিক্রি দেখতে গেলে দেখা যায় দোকানে দোকানে হলুদ জার্সি পরা সমর্থকেরা ভিড় করে থ্রিআপ খাচ্ছে।
তবে এক দোকানে যেয়ে আমরা থ্রিআপ চাইতেই দোকানদার আমাদের দিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ সেভেন আপের বোতল ছুড়ে মারে এবং মুখের উপর দোকানের শাটার নামিয়ে দেয়। গোপন ক্যামেরায় পরে সেই দোকানদারকে আর্জেন্টিনার জার্সিতে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে দেখা যায়।