বেশ কিছুদিন ধরে জেলে থাকা আওয়ামী নেতাদের মুখে খাবারের রুচি কমে গেছে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিকে নিয়মিত ভাত, মাছ, মাংস, ডাল পেয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকলেও এখন নাকি তারা জেলের খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। খাবারের প্লেটে প্রায়ই দেখা যায় অর্ধেক খাবার পড়ে থাকছে। বিষয়টি তদন্ত করতে গেলে কারা চিকিৎসকের কাছে নেতারা অভিযোগ করেছেন, জেলের ভাতের কোনো স্বাদ নেই। একরকমের খাবার বারবার খেতে খেতে জিভ অবশ হয়ে গেছে। নতুন কিছু না দিলে হয়ত না খেয়েই মারা যাব।
কারাগারের এক আওয়ামী নেতার কাছ থেকে জানা যায়, তারা এখন আর জেলের খাবার খেতে চান না। বরং এই সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজুদার দোকানের ২০ টাকার পরোটা, আনলিমিটেড সবজি, কাঁচা মরিচ, আর আপেল পেঁয়াজের স্বাদের কথা ভেবেই তাদের মুখে পানি চলে আসে। সারাদিন কিছু করার নেই। দুর্নীতি করতে পারি না, গণহত্যার সুযোগ নেই, বসে বসে রাজুদার রিলস দেখি, আর রিলস দেখতে দেখতে দেখতে কোথা কোথা থেকে যেন পানি চলে আসে, এক নেতা আমাদের প্রতিনিধিকে এমনটাই জানিয়েছেন।
এদিকে কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। রাজুদার দোকানের খাবার সরবরাহ করা তো সম্ভব নয়, উপরন্তু তাদের কর্মকাণ্ডের পর আনলিমিটেড সবজি দেওয়াটা যুক্তিসম্মত নয়। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা যদি জেলের খাবার না খেতে চান, তবে না খেয়ে থাকতে পারেন। দুই দিন না খেয়ে থাকলে তিন দিনের দিন আব্বা আব্বা করে খাইতে চাইবে।
রাজুদার সাথে আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা যখন তাকে পুরো বিষয়টা খুলে বলি তিনি হেসে হেসে বলেন, দেখো দাদা, আমি তো এখনই বাংলাদেশে পরোটা সাপ্লাই দিতে পারছি না, তবে তাদের মন খারাপ করতে মানা করে দিও। আরও ৫/৭ বছর যদি তারা জেলে থাকেন তাহলে একদিন হয়ত তাদের আশা পূরন করতে পারব দাদা। আমাকে মাফ করে দিও, এ যাত্রায় খাওয়াতে পারছি না। তবে তুমি চাইলে ওদের জন্য ৪০ পিস পরোটা নিয়ে যেতে পার, ডিসকাউন্ট দেব।