একটা সময় ছিল যখন সকালে ক্লাসে গিয়ে নতুন কিছু শেখার চিন্তা ছিল। এখন সেই চিন্তা চলে গিয়েছে রিলসের দুনিয়ায়। সারারাত রিলস দেখে ক্লাসে কোনো কিছুই মাথায় ঢোকে না, এমন অভিজ্ঞতা অস্বস্থিতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। তাদের মতে, রিলসের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়, তবে একটাই সমাধান—পড়াশোনার জন্য এক্সট্রা ব্রেইন চাই।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একদিনের সাক্ষাৎকারে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানালেন, রাতে রিলস ছাড়া ঘুমই আসে না, আর সকালে ক্লাসে গিয়ে টিচারের নজর বাঁচাতে শেষ বেঞ্চে বসার জন্য যুদ্ধ করতে হয়। তারা একে একে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে এক্সট্রা ব্রেইন চেয়ে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করলেও, সমাধান মেলেনি। তাই, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—এক্সট্রা ব্রেইন ছাড়া পড়াশোনা করা আর সম্ভব নয়।
অদ্ভুত এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শাহবাগে, যেখানে কিছু শিক্ষার্থী রিলসের দিকে চোখ রেখেই মানববন্ধন করে দাবি করেছেন, রিলস আমাদের ঘুমের ওষুধ, পড়াশোনা ছাড়া জীবন চলে না, কিন্তু এক ব্রেইনে রিলস আর পড়াশোনা একসাথে টেনে নেওয়া সম্ভব না! তাদের মতে, এক্সট্রা ব্রেইন দিলে এই সমস্যা সহজেই সমাধান হবে।
বিশেষজ্ঞ মহলও এখন চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। তারা বলছেন, রিলস শিল্পকে অবৈধ ঘোষণা না করেও কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ফেরানো যায়, সে পথ খোঁজা হচ্ছে। আর কেউ কেউ বলছেন, যদি ব্রেইন ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা হয়, তবে প্রতি ঘণ্টায় ১০০০ টাকা চার্জ করে পড়াশোনার জন্য এক্সট্রা ব্রেইন চালু করা যেতে পারে!
এখন প্রশ্ন হলো, এই পরিস্থিতি কতটা কন্ট্রোল করা সম্ভব? ভবিষ্যতে কীভাবে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা যাবে, সেটা দেখার বিষয়। তবে, এই এক্সট্রা ব্রেইন ধারণা এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে, যেখানে প্রযুক্তি ও শিক্ষার সমন্বয় ঘটানোর কথা ভাবা হচ্ছে।