নভেম্বর মাস বাদামহীন এক মাস, অর্থাৎ ‘নো নাট নভেম্বর’। সারা বছর বাদামে আসক্ত মানুষেরা এই মাসে বাদাম থেকে বিরত থেকে এক প্রকার শুদ্ধ জীবন-যাপনের সংকল্প নিয়ে থাকেন। কিন্তু এ বছর শিঙাড়া সমাজও একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আর কোনোভাবেই বাদাম সহ্য করতে রাজি নয়! হ্যাঁ, এবার থেকে শিঙাড়ারাও নো নাট নভেম্বরে নিজেদের নাটমুক্ত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এ বিষয়ে কথা বলতে আমাদের প্রতিনিধি একটি হোটেলে গিয়ে বাবুর্চির কাছে শিঙাড়ার বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি প্রথমেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন, কী আর বলব! বাদামের উপর শিঙাড়ারা যে আক্রোশ দেখাচ্ছে, ভাবলে বুকের মধ্যে হু হু করে কষ্ট হয়। গতকাল থেকে শিঙাড়ারা একেবারে নিজেকে পিওর রাখতে চায়। নাটমুক্ত শিঙাড়া বানাতে বাধ্য হচ্ছি! কোনো শিঙাড়ার মধ্যে যদি ভুল করে বাদাম পড়ে যায়, তাহলে ওরা কড়াইতে কাচা অবস্থায় ভাসতে থাকে আর বলে, আলুই শিঙাড়ার আসল প্রাণ। শিঙাড়ার মধ্যে বাদাম অনেকটা চাঁদের গায়ে কলঙ্কের মতো। বার্বুচি আরও বলেন, ঘণ্টা ধরে গরম তেলে রাখলেও ভাজা যাচ্ছে না শিঙাড়াগুলোকে। মনে হচ্ছে যেন জন্মগত কোনো আক্রোশ নিয়ে তেলে ভাসছে খালি!
তবে বাদামপ্রেমীদের জন্য বিষয়টা মোটেই সুখকর হয়নি। অনেকেই ভেবেছিলেন, নভেম্বর মাসে প্রকাশ্যে বাদাম খাওয়া নিষিদ্ধ হলেও শিঙাড়ার মধ্যে লুকিয়ে বাদাম খাওয়ার উপায়টা বোধহয় খোলা থাকছে। আমাদের এক বাদামপ্রেমী এই প্রসঙ্গে বড় নিঃশ্বাস ফেলে বলেন, শিঙাড়ার মধ্যে থাকা ছোট্টো বাদামগুলো খেতে পারব ভেবেছিলাম। এখন শিঙাড়ারাও যদি বাদামমুক্ত হয়ে যায়, তাহলে আমরা বাদাম খাব কোথায়? এই সংকট যেন আমাদের বাদামপ্রেমীদের মনে কুঠারাঘাত করছে!
এখন দেখার বিষয়, এই নো নাট নভেম্বর কীভাবে কাটিয়ে উঠবেন বাদামপ্রেমীরা। তারা কী গোপনে বাদামের কোনো গোপন আড়ত খুঁজে বের করবেন, নাকি এই সংকট তাদের অন্য কোনো কিছুর প্রতি আসক্ত করে তুলবে?