বাজারে আগুন। মাছ মাংস ছাড়াই সাধারণ শাক সবজি চলে গেছে নাগালের বাইরে। মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের সেই আগুনে প্রায় ভস্মপ্রায় অবস্থা। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের অবস্থা আরও শোচনীয়। দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করলেও আমরা এখনও স্বাধীনমতো বাজার করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি। আর কতদিন এভাবে চলবে ভেবে ভেবে হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এর সমাধান কোথায়? সমাধান হাতড়ে না পেলেও বিকল্প কিন্তু বের করে ফেলেছে সাধারণ মানুষ। বিকল্প হলো, আমাদের প্রিয় ইউসুফ সরকার। ফেসবুকের মতো গরিব মেহনতি জনতাও ইউসুফ সরকার পেমেন্ট সিস্টেম যায়। তারা চায়, তারা বাজারে গিয়ে ইউসুফ সরকার মূল্য দিবে বললেই পাবে বাকি! যে টাকা কখনও পরিশোধ করতে হবে না।
রায়েরবাজার কাঁচাবাজার থেকে আমাদের প্রতিনিধি সরাসরি জানান বাজার-সদাইয়ের আপডেট। হারুন নামের এক রাজমিস্ত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায় বিস্তারিত৷ তিনি বলেন, বাজারে প্রথম কয়দিন গেছি। যেই দাম, এখন আর ঢুকিই না। একটা দোকানে কথা বলে আসছি। ওরা ইউসুফ সরকারের নামে বাকিতে দেয়। মোটামুটি এক খাতা বাকি হইছে। বাজার সদাইয়ের এই চরম মূল্য ইউসুফ সরকার ছাড়া দেওয়া সম্ভব না।
দোকানদার কমিটির সভাপতি জানান, ইউসুফ সরকারের নামে ইতিমধ্যে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা জমেছে শেষ দুই মাসে। এরা সবাই গরিব মেহনতী মানুষ। এদের খাতার পর খাতা বাকিতে নেওয়া। মোট টাকার অ্যামাউন্টে ২ কোটি হলেই দোকানদার সমিতি সচিবালয় ঘেরাও করবে। 'যমুনা'ও ঘেরাও করতে পারে। বলা যায় না। টাকা উশুল করতে হবে।
এদিকে গরিব মেহনতী মানুষরা জানান, এটি ছাড়া তাদের বিকল্প কিছু নেই। নুরুদ্দিন নামের অটোরিকশা চালক বলেন, বাকির খাতার হিসাব সরকারের ঝামেলা লাগতে পারে। এইটা এড়াইতে ইউসুফ সরকার নিজের নামে কার্ড কিংবা ATM বুথ দিতে পারে। আমরা সেইখান থেকে টাকা তুইলা বাজার করমু। বাজারের এই চরম মূল্য ইউসুফ সরকার ছাড়া আর কারও পরিশোধ করার সাধ্য নাই।