আপার গল্প শোনালেই ভয়ে ঘুমিয়ে যাচ্ছে বাচ্চারা, ক্ষুদ্ধ গল্পের রাক্ষুসি-ডাইনি বুড়িরা

১১ পঠিত ... ২ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে

20

বাংলাদেশে ছোটো বাচ্চাদের রাক্ষসী-ডাইনি বুড়ির গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়ানোর একটা দীর্ঘ ঐতিহ্য আছে। ছোটো বাচ্চারা এসব গল্প শুনে ভয় পেয়ে দ্রুত ঘুমিয়ে যেত। অনেকে আবার মজাও পেত এসব গল্পে। কিন্তু গত দুই মাস ধরে এক ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। 

গত দুই মাস ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মা-বাবারা পুরোনো রূপকথার গল্পের ডাইনি, রাক্ষসীদের বদলে শেখ হাসিনার গল্প শুনিয়ে বাচ্চাদের ঘুম পাড়াচ্ছে। আগে বাচ্চাদের ভয় দেখানোর জন্য বলা হতো, ঘুমাতে না গেলে কিন্তু ডাইনি আসবে, আর এখন বাবা-মা বলে, ঘুমাতে না গেলে হাসিনা আসবে।

বেশ কিছু শিশু বাচ্চার সাথে গল্প করে আমরা জানতে পারি যে তারা ঘুমানোর আগে ভৌতিক গল্প শুনে ভয়ের সাথে সাথে মজা পায়। আপার গল্প কেমন লাগে জিজ্ঞেস করলে এক বাচ্চা কোনো কথা না বলেই, ভয় পেয়ে দৌড়ে চলে যায়।

এতদিনের প্রসিদ্ধ সব ডাইনিদের গল্প বাদ দিয়ে আপার গল্প শোনানোর পেছনের কারণ হিসেবে অভিভাবকরা বলছেন, গত পনেরো বছরে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যেসব গুম, খুন, দুর্নীতি হয়েছে সাথে জুলাই-আগস্টে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা, গুলিতে দৃষ্টিশক্তি হারানো অসংখ্য মানুষ এবং অগণিত পঙ্গু হওয়ার ঘটনার পর শেখ হাসিনা শুধু ডাইনি নয় ডাইনির চেয়ে বড় কোনো কিছুতে পরিণত হয়েছেন।

কিছু কিছু নতুন বাবা-মা হাসিনাকে ধন্যবাদও দিচ্ছেন। এমন একজন বলেন, বাবু আগে সারারাত জেগে থাকত। আমরা দুজন একটুও নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারতাম না। এখন মাশাআল্লাহ শান্তিতে আছি। হাসিনার গল্প শুনলেই ঘুমিয়ে যায়।  

শেখ হাসিনাকে নিয়ে এত মাতামাতি দেখে বিক্ষুব্ধ গল্পের রাক্ষুসী-ডাইনি বুড়িরা। দেশের সর্বত্র শেওড়া গাছ, বাশ ঝাড়ে থাকা রাক্ষুসী-ডাইনি বুড়িরা জড়ো হয়ে নিজেদের অবস্থা পরিষ্কার করে জানিয়েছে, আমাদের জায়গায় শেখ হাসিনার গল্প শোনানোর বিষয়টা আমরা মানতে পারছি না। যার দেশে থাকার যোগ্যতা নেই, তাকে গল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে আহবান জানাচ্ছি।

 

১১ পঠিত ... ২ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে

Top