স্কুলগুলোতে বিজ্ঞান পড়ানোর ফলে অতিরিক্ত বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থী, যার পেছনে দায়ী মূলত স্কুলের শিক্ষকরাই। ইতোমধ্যে, এই ধরনের শিক্ষকদের জেলেপুরে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। আরও কী কী শাস্তি দিলে এসব বিজ্ঞান শিক্ষক সঠিক লাইনে আসবে, তার একটা লিস্ট করেছে eআরকির আইডিয়াবাজেরা। দেখবেন নাকি একবার?
১. রেগুলার দামে কেনাকাটা? আহ্লাদ? শিক্ষকদের দ্বিগুণ দামে সব জিনিস কিনতে হবে৷
২. ব্যাচেলরদের মতো বিজ্ঞান শিক্ষকদেরও বাড়ি ভাড়া দিতে নানা টালবাহানা করা যেতে পারে৷ টু লেট এর ব্যানারে লেখা হবে ‘বিজ্ঞান শিক্ষকদের বাসাভাড়া দেওয়া হয় না৷’
৩. দোকানে কোনো দরকারি জিনিস কিনতে গেলে প্রতিবারই 'ডিম আগে না মুরগি আগে', ‘সূর্য না পৃথিবী ঘোরে’ এই টাইপের জটিল প্রশ্ন করা হবে৷ উত্তর ঠিক হলে তবেই মিলবে জিনিসপত্র।
৪. বিজ্ঞান শিক্ষকের সন্তানদের বর্ণপরিচয়ের পরই প্রথম বই পড়ানো হবে ‘প্যারাডক্সিকাল সাজিদ’।
৫. বিজ্ঞান শিক্ষকদের ছাদে যাওয়া বারণ৷ ছাদে গেলে প্রমাণ করে দেখাতে হবে ‘উঁচু স্থান থেকে ভারী বস্তু আর হালকা বস্তু একসাথে মাটিতে পড়ে।‘
৬. বিজ্ঞান ক্লাস শেষে ২০ মিনিট সময় থাকবে, যখন শিক্ষার্থীরা তাদের মনে থাকা সকল প্রশ্ন করবে। শুধু বিজ্ঞানবিষয়ক কোনো প্রশ্ন করা যাবে না৷
৭. এটিএমবুথ থেকে টাকা তুলতে গেলে অবশ্যই বলতে হবে, ধর্মগ্রন্থে কোন কোন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার আগে থেকেই উল্লেখ আছে৷
৮. অন্য সবাই সস্তা কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানালেও বিজ্ঞান শিক্ষকদের বাসায় অবশ্যই চড়া দামের বেগুন দিয়েই বেগুনি বানানো হবে।
৯. বিজ্ঞান শিক্ষকদের বিজয় সরণীর সিগন্যাল অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হবে।
১০. বিজ্ঞান শিক্ষকদের এলাকায় ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশা নিধন কার্যক্রম চালানো হবে না। ফলে তারা মশা তাড়াতেই ব্যস্ত থাকবে, বিজ্ঞান পড়ানোর সময় পাবে না!