সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের রাজধানীর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার ঐতিহ্য ও ইতিহাস নিয়ে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়। সেখানে মোহাম্মদপুরের কিছু কৃতি আদি বাসিন্দাদের নানাবিধ আন্তর্জাতিক সাফল্যের তথ্য প্রমাণ তুলে ধরা হয়। দেশের একটি অঞ্চলের এমন আন্তর্জাতিক সাফল্যে উল্লাসে ফেটে পড়ে মোহাম্মদপুরের আপামর জনসাধারণ।
'বাংলাদেশের ইতিহাসে মোহাম্মদপুরের নাম এবার স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে' এমন মতামত দিয়ে নূরজাহান রোড়ের এক বাসিন্দা বলেন, 'এরপরও বাংলাদেশের প্রতি মোহাম্মদপুরের অবদান আপনারা কীভাবে অস্বীকার করবেন?'
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হলে ঢাকার রাজধানী হওয়া উচিত মোহাম্মদপুর, এমন দাবিও তোলেন একজন মোহাম্মদপুরবাসী। বনানী, গুলশান, উত্তরা, ধানমন্ডি অঞ্চলকে অযোগ্য, পশ্চাৎগামী ও লোক দেখানো নকল আলোর ঝলকানির অঞ্চল আখ্যা দিয়ে এই আদি বাসিন্দা বলেন, 'আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ক্যামেরা যখন মোহাম্মদপুরের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ায়, বুকটা গর্বে ভরে যায়। মোহাম্মদপুর ছাড়া আর কে দিয়েছে এমন গর্বের অনুভূতি।'
দেশে দেশে মোহাম্মদপুরের একটি করে শাখা খুলতে চান এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তাজমহল রোডের এক আদি বাসিন্দা বলেন, 'হাঙ্গেরি, মালয়েশিয়া, উগান্ডা, সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, কাতার সবদেশেই একটা করে মোহাম্মদপুরের শাখা খুলে বিশ্ববাসীকে আমরা এই গৌরবে যোগ করতে চাই।'
মোহাম্মদপুর বাসিন্দাদের পাশাপাশি মোহাম্মদপুরের ছিনতাইকারীরাও উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। এমন সাফল্যকে উদযাপন করতে আগামী ৩ দিন কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মোহাম্মদপুর ছিনতাইকারী সংঘ।