ফেরার নানান চেষ্টা করলেও কোনোভাবেই ফিরে আসতে পারছে না আওয়ামীলীগ। এমনকি ভয়ংকর রূপে ফিরে আসার কথা বললেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ছাত্রলীগকেও। এমন অবস্থায় ফিরে আসার শেষ পন্থা হিসেবে শঙখচিল শালিখের বেশে ফেরার টেকনিক শিখতে জীবনানন্দ দাশের শরণাপন্ন হয়েছেন আওয়ামী নেতা-কর্মীরা। আওয়ামীলীগ কর্মীদের বিশ্বাস জীবনানন্দের কাছে পর্যাপ্ত ট্রেনিং পেলে শঙখচিল অথবা শালিখ যেকোনো একটা পাখির রূপে এই বাংলায় তাদের ফিরে আসা কেউ ঠেকাতে পারবে না। তবে জীবনানন্দের মতো ধানসিড়ি নদীর তীরেই তারা ল্যান্ড করবেন কিনা সেটির ব্যাপারে এখনও কোনো ঐক্যমতে পৌছাতে পারেননি দলটির নেতা কর্মীরা।
বিষয়টি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পলাতক এক আওয়ামী নেতার গর্তে টোকা দেওয়া হলে তিনি গর্ত থেকে মুখ বের করে আমাদের বলেন, দাশবাবুকে আমরা বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি আমাদের শঙখচিল কিংবা শালিখের বেশ ধরার টেকনিকগুলো যেন শেখান। উনার কাছে আমাদের বিশেষ অফারও ড্রপ করে রেখেছি, একবার যদি বাংলায় ফিরতে পারি তবে ধানসিড়ি নদীর তীরে ওনার ল্যান্ড করার বিশেষ ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ওনাকে নদীর পারে একটা প্লটের ব্যবস্থাও করে দেব। আপাতত দাশবাবু কার্তিকের জোছনার প্রান্তরে মহীনের ঘোড়াগুলিকে চড়াতে নিয়ে গিয়েছেন তাই এখনও ফাইনাল কিছু জানাননি। তবে আশা করছি উনি ফিরে আসলেই ইতিবাচক কিছু একটা জানতে পারবেন আপনারা।
অন্যদিকে বিষয়টিতে কিছুটা ক্ষুদ্ধ হয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তাদের ভাষ্যমতে ফিরলে ফিরতে হবে ভয়ংকর রূপে, এসব ছোটোখাটো পাখির রূপে তারা ফিরতে চান না। প্রয়োজন হলে জার জার ওবস্তান থেকে আরও কিছুদিন পলাতক থাকবেন কিন্তু সময় নিয়ে অন্তত কাকের রূপ নিয়ে হলেও তারা ফিরতে চান।