১#
রানওয়ে ধরে প্লেন নড়তে শুরু করলে যাত্রীরা অস্বস্তিতে পড়লো। প্লেনের গতি বাড়ে অথচ উড্ডয়ন করলো না, ভূমিতেই চলতে থাকলো। রানওয়ের জায়গা বেশি বাকি নাই, প্লেনটা ছুটে যাচ্ছে একটা দেয়ালের দিকে।
যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলো আর একদম শেষমুহূর্তে প্লেনটা দেয়ালটা টপকে উড়তে শুরু করলো। এটাকে বাজে ঠাট্টা ভেবে যাত্রীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। পাইলটের কেবিনে পাইলটকে সহকারী পাইলট বললো, দেখবেন চিৎকার করতে এরা একদিন অনেক দেরি করে ফেলবে আর আমরা সবাই মারা পড়বো।
২#
রোগী: ডাক্তারবাবু আমি সেরে উঠবো তো?
ডাক্তার: ডাক তাঁর এলে ডাক্তার কী করবে?
৩#
১ম দার্শনিক: আমার দুশ্চিন্তা হচ্ছে বোকারা একদিন পৃথিবী থেকে নিঃশেষ হয়ে গেলে পৃথিবীর কী হবে?
২য় দার্শনিক: তোমাকে দেখে আমার দুঃখ হচ্ছে। তুমি সবসময় শুধু নিজের কথা ভাবো।
৪#
জ্যোতিষী: তোমার সৌন্দর্যের জন্যে তুমি শীঘ্রই কোনো চলচ্চিত্র পরিচালকের নজরে পড়বে আর কিছুদিনের মধ্যে বড় তারকা হয়ে যাবে।
তরুণী: গতকাল বিকেলেও আরেকজনকে একই কথা আপনি বলেছেন।
জ্যোতিষী: এসব কথা না বললে যে আজকালকার তরুণ-তরুণীরা খুশি হয় না।
৫#
বৃদ্ধলোক: দয়া করে আমাকে একটা চিঠি লিখে দেবেন?
পোস্ট অফিসের কেরানী: নিশ্চয়ই। কি লিখতে হবে বলুন।
চিঠি লেখা শেষ হয়ে গেলে কেরানীটি বৃদ্ধকে বললো, আর কিছু লেখার আছে?
বৃদ্ধ: চিঠির শেষে পুনশ্চ দিয়ে লিখুন, জঘন্য হাতের লেখার জন্য মার্জনা করবেন।
৬#
এক রোগী ডাক্তারকে জানালো যে সারাদিন বাসায় শুয়ে-বসে থাকি, কোনো কাজ করতে পারে না। কিছু করতে ইচ্ছাও হয় না। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলো।
রোগী: ডাক্তার সাহেব এখন একদম সহজ ভাষায় আমাকে বলুন আমার কি হয়েছে?
ডাক্তার: একদম সহজ ভাষায় বললে, আপনি অলস।
রোগী: ওকে। এবার আমাকে চিকিৎসাশাস্ত্রীয় ভাষায় বলুন যাতে আমার স্ত্রীকে বলতে পারি।
৭#
ছাত্র প্রাইভেট টিউটরকে
—স্যার, আপনি বললেন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে কিন্তু বাবা বলল সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে। কোনটা ঠিক?
—যেটা যেদিকে ঘুরুক... খালি তোমার বাবাকে বলে দিও যে মাস শেষে মাইনের জন্য যেন আবার আমাকে তোমার বাবার পিছনে ঘুরতে না হয়।
৮#
রাতে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক ভদ্রলোক। গাড়ি জ্যামে আটকে গেলে এক ভিক্ষুক এসে হাত পাতলো।
: দয়া করে কিছু দিন স্যার!
: তুমি মদ খাও?
: না স্যার।
: ধূমপান কর?
: না।
: জুয়া খেল?
: না।
: তুমি শিগগির আমার গাড়িতে ওঠ।
: যা দেবার এখানেই দিন, স্যার।
: না, তোমাকে বাড়ি নিয়ে আমার স্ত্রীকে দেখাতে চাই যে, মদ, ধূমপান, জুয়া এসবের সাথে না থাকলে মানুষের জীবনের কী ভয়াবহ অবস্থা হয়।
৯#
এক বাবা তার ছেলেদের ব্যাপারে গল্প করছে প্রতিবেশির সাথে।
১ম ছেলে: এমবিএ
২য় ছেলে: পিএইচডি
৩য় ছেলে: চোর
প্রতিবেশী: তিন নাম্বার ছেলেটাকে বাসা থেকে বের করে দিচ্ছেন না কেন?
বাবা: বাসায় ও-ই একমাত্র উপার্জনক্ষম। বাকিরা বেকার।
১০#
রোগী: সমুদ্রে সাতার কাটতে গিয়েছিলাম। একটা হাঙর পায়ের একটা আঙুল কেটে নিয়েছে।
ডাক্তার: কোনটা বলুন তো
রোগী: সেটা আমি কি করে বলবো? আমার কাছে সব হাঙরই সমান।
১১#
এক যুক্তিবিদের স্ত্রী তাকে বললো, এক প্যাকেট পাউরুটি কিনতে দোকানে যাও এবং যদি দোকানে ডিম থাকে, এক ডজন নিয়ে এসো।
যুক্তিবিদ পাউরুটির ১২টা প্যাকেট নিয়ে বাসায় ফিরলো।
১২#
হাসপাতালে এক রোগী চিঠি লিখছেন। এটেনডেন্ট ডাক্তার জানতে চাইলেন-
—কী লিখছেন?
—চিঠি।
—কাকে লিখছেন
—নিজেকেই।
—কী লিখছেন নিজেকে?
—সেটা এখনই কী করে বলি? চিঠি লেখা শেষ করব, তারপর ঠিকানা লিখে পোস্ট করব, সেই চিঠি আমার কাছে আসবে, খাম খুলে দেখব, তারপর পড়ব, তারপর না বুঝব কী লিখেছি।
১৩#
দলগত কাজের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- যেকোনো সমস্যায় অন্যকে দায়ী করা যায়।
১৪#
রেস্তোরায় খেতে গেছে এক লোক। খাবার অর্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খাবার আর আসে না। লোকটা বিরক্ত হয়ে ম্যানেজারের কাছে গেল।
: আপনার কাছে পঞ্চাশ টাকার দলিলের কাগজ আছে?
: কেন? ম্যানেজার অবাক হয় প্রশ্ন শুনে।
: না, আমার খাবারের জন্য অর্ডার করেছি তো অনেকক্ষণ, আসছে না, তাই ভাবলাম খাবারটা আমার নাতির নামে উইল করে বাড়ি যাই।
১৫#
শিক্ষক ঝগড়া করার অপরাধে ক্লাসের দুই ছাত্রকে শাস্তি দিলেন। প্রত্যেককে তাদের নিজের নিজের নাম ব্ল্যাকবোর্ডে ২০০ বার করে লিখতে হবে। তখন দুই ছাত্রের একজন বলল
: স্যার, আপনার শাস্তি মেনে নিচ্ছি, কিন্তু আপনি তো সুবিচার করলেন না।
: মানে? কী বলতে চাও তুমি?
: স্যার, ওর নাম মিঠু দে আর আমার নাম সৈয়দ ইবনে মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ খান ফারাবি।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন