১#
শিক্ষিকা: তিতুমীর কে চেন?
শিক্ষার্থী: না ম্যাডাম, চিনি না।
শিক্ষিকা: তোমার পড়াশোনায় মনোযোগ দাও, তাহলেই চিনতে পারবে।
শিক্ষার্থী: আপনি কি সুমি আন্টিকে চেনেন?
শিক্ষিকা: না, চিনি না।
শিক্ষার্থী: আপনার স্বামীর ওপর মনোযোগ দেন, তাহলেই চিনতে পারবেন।
২#
শিক্ষক: আচ্ছা, ‘বিবিসি’ মানে কী বল তো?
ছাত্র: বাংলাদেশ বিস্কুট কোম্পানি।
শিক্ষক: বেয়াদব! বাড়ি কোথায়?
ছাত্র: এটাও হতে পারে, স্যার।
৩#
শিক্ষক: বলো তো টমি, রঙিন টিভি আর সাদাকালো টিভির মধ্যে পার্থক্য কী?
ছাত্র: স্যার, রঙিন টিভিতে যেটা ‘গাজর’ সাদাকালো টিভিতে সেটা ‘মূলা’!
৪#
: বলো তো পৃথিবীতে সবচেয়ে চালাক প্রাণি কোনটি?
: পৃথিবীতে সবচেয়ে চালাক প্রাণি হচ্ছে গরু।
: গরু কীভাবে সবচেয়ে চালাক প্রাণি হয়? ব্যাখ্যা করো
: ব্যাখ্যা তো আরো সহজ! বাংলা দ্বিতীয় পত্রে প্রবাদ আছে- অতি চালাকের গলায় দড়ি। বেশির ভাগ গরুর গলায় দড়ি থাকে। সুতরাং গরুই সবচেয়ে চালাক প্রাণি।
৫#
অধ্যাপক: এই যে ছেলে, তুমি আমার ক্লাসে কিছুতেই ঘুমাতে পারো না।
ছাত্র: পারি স্যার, আপনি একটু আস্তে লেকচার দিলেই পারি।
৬#
শিক্ষক: জানো, তোমাদের বয়সে আমার একটা বিশ্বাস ছিল।
ছাত্র: কী বিশ্বাস ছিল স্যার?
শিক্ষক: বিশ্বাস ছিল, আমি সব জানি।
ছাত্র: তাহলে এখন কী হলো?
শিক্ষক: এখন এই ষাট বছর বয়সে এসে বুঝতে পারছি আমি কিছুই জানি না।
ছাত্র : এ কথা বুঝতে আপনার এত বছর লাগল স্যার! আমরা তো আপনাকে দেখামাত্রই বুঝে নিয়েছি।
৭#
শিক্ষক: মনে করো একট সিংহ তোমাকে তাড়া করেছে। কী করবে?
ছাত্র: আমি দেয়াল টপকে যাবো
শিক্ষক: সিংহও যদি দেয়াল টপকে তোমার পিছু নেয়?
ছাত্র: আমি গাছে উঠে যাবো।
শিক্ষক: সিংহও যদি গাছে উঠে তোমার দেখাদেখি।
ছাত্র: নদীতে ঝাঁপ দিয়ে, সাতরে চলে যাবো দূরে।
শিক্ষক: সিংহটাও যদি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, সাতরাতে শুরু করে?
ছাত্র: স্যার, আপনি কি আমার পক্ষে না সিংহের?
৮#
শিক্ষক: তোমাকে যদি দশটি আলু দিয়ে সাতজনকে সমানভাগে ভাগ করে দিতে বলা হয়, কীভাবে ভাগ করবে?
ছাত্র: এ আর এমন কী? আলুগুলো সেদ্ধ করে ভর্তা বানিয়ে সাত ভাগ করে দেবো।
৯#
ইতিহাস পড়াচ্ছিলেন প্রফেসর। হঠাৎ খেয়াল করলেন এক ছাত্র ঘুমাচ্ছে তার ক্লাসে। তিনি রেগে গিয়ে তাকে ডেকে তুললেন-
: তুমি কতক্ষণ ধরে ঘুমাচ্ছ?
: স্যার ষোড়শ শতাব্দী থেকে।
১০#
কুঙ ফু ছাত্র গুরুকে বলছে-
: মায়েস্ত্রো, কেন আমার দক্ষতার উন্নতি হচ্ছে না? আমি বারবার হেরে যাচ্ছি।
প্রশান্ত, প্রজ্ঞা ও স্থৈর্য্যের প্রতিমূর্তি গুরু ধীরলয়ে বলা শুরু করলেন।
: প্রিয় শিষ্য, সূর্যাস্তের সময় দীর্ঘ ডানার গাংচিল উড়ে যাওয়া দেখেছো কখনো যখন ডানাকে স্ফুলিঙ্গ মনে হয়?
: জ্বি মায়েস্ত্রো, দেখেছি।
: পাথরের উপর তুমুল বেগে ঝর্ণার জলের সশব্দে আছড়ে পড়া দেখেছো?
: জ্বি মায়েস্ত্রো আমি দেখেছি।
: আর চাঁদ...যখন শান্ত জলে চাঁদ তার অভাবিত সৌন্দর্য্য প্রতিফলিত করে?
: জ্বি মায়েস্ত্রো, এই অভাবিত সৌন্দর্যও আমি দেখেছি।
: এটাই আসল সমস্যা। তুমি ট্রেনিং বাদ দিয়ে এইসব বা*ছাল দেখো।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন