কর্মমূখর দিনটা শুরু হোক আপনার হাসি দিয়ে। আর যাদের কোনো কাজ নেই তারা এমনি বসে বসে পড়ুন। বাই এনি চান্স কোনো কৌতুক ভালো লেগে গেলে সেটা মনে রাখুন, এরপর বন্ধুদের আড্ডায় গিয়ে সেটা বলে নিজেকে দারুণ রসবোধ সম্পন্ন মানুষে হিসেবে প্রতিষ্ঠা করুন।
১.
তিন ভাষায় কথা বলে যে—ত্রিভাষী।
দুই ভাষায় কথা বলে যে—দ্বিভাষী।
এক ভাষায় কথা বলে যে—আমেরিকান।
২.
দুই মাতালের কথোপকথন।
—স্ট্র দিয়ে ভোদকা খাচ্ছ কেন?
—ডাক্তার আমাকে বলেছেন পানপাত্র থেকে দূরে থাকতে।
৩.
মিনিট দশেক তাড়া করে গতিবিধি লঙ্ঘন করা এক ড্রাইভারকে থামাল ট্রাফিক পুলিশ, বলল, আমি থামতে বলা সত্ত্বেও কেন আপনি থামেননি?
এক মুহূর্ত ভেবে নিয়ে ড্রাইভার বলল, আসলে হয়েছে কি, গত সপ্তাহে আমার স্ত্রী এক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে পালিয়ে গেছে। তো আপনাকে আমার পেছনে ছুটতে দেখে মনে হলো, আমার স্ত্রীকে ফেরত দিতেই আপনি আমার পিছু নিয়েছেন।
৪.
ড্রাকুলার সঙ্গে কোনো মেয়ের প্রেম হয় কীভাবে?
—প্রথম দংশনেই প্রেম।
৫.
শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, কে বলতে পারবে, আমরা কেন আগে বিদ্যুৎ চমকানো দেখি এবং পরে শুনি মেঘের গর্জন?
এক বালক উঠে দাঁড়িয়ে উত্তর দিল, কারণ, আমাদের চোখের অবস্থান কানের আগে।
৬.
এয়ারপোর্টে চেক-ইন করার সময় এক যাত্রী বলল, আমার দুটি ব্যাগের একটি পাঠান নিউইয়র্কে, অন্যটি লস অ্যাঞ্জেলেসে।
—তা তো সম্ভব নয়! যাত্রীকে জানানো হলো
—সম্ভব নয় মানে? গতবারই তো আপনারা সেটা করতে পেরেছিলেন!
৭.
একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার আগে ৪০ মিনিট ধরে আইব্রো পেনসিল, আই শ্যাডো, আই লাইনার, মাশকারা, টোনার, ব্লাশ ও লিপস্টিকের যথাযথ সদ্ব্যবহার করে নিয়ে স্ত্রী স্বামীর দিকে ঘুরে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, দেখো তো, আমাকে ন্যাচারাল দেখাচ্ছে কি না!
৮.
ভূতেরা লাতিন ও সংস্কৃত ভাষা শেখে কেন?
—মৃত ভাষা বলে।
৯.
আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। এখানে ডিসি মানে কী?
—ডট কম।
১০.
ডাক্তার সাহেব, আমার কিডনিতে ব্যথা।
—মদ্যপান করেন?
—করি, লাভ হয় না।
১১.
মা রান্নাঘরে ব্যস্ত বলে শিশুকে ঘুম পাড়াতে নিয়ে গেলেন বাবা। অনেকটা সময় পর আস্তে করে দরজা খুলে মা ঢুকলেন সেই অন্ধকার ঘরে। তারপর ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করলেন, ঘুমিয়েছে?
—হ্যাঁ, ঘুমিয়েছে, উত্তর দিল শিশু।
১২.
বুনো পশ্চিম। এক মেয়ে বলছে তার মাকে, মা, ডার্টি বিলি আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।
—সে তোমাকে সরাসরি বলেছে এ কথা? মা প্রশ্ন করলেন।
—না, তা বলেনি, তবে ইঙ্গিত দিয়েছে। নিজের বউকে সে ইতিমধ্যে গুলি করে মেরে ফেলেছে।
১৩.
রবিন হুড ধনীদের বাড়িতে ডাকাতি করত কেন?
—গরিবদের ঘরে টাকা-পয়সা ছিল না বলে।
১৪.
প্রচণ্ড তর্ক শুরু হয়েছে দুই মাতালের মধ্যে। একজন বলছে, আকাশে দুটো চাঁদ দেখা যাচ্ছে। অন্যজন বলছে, তিনটে। আরেক মাতাল যাচ্ছিল পাশ দিয়ে। তাকে ডেকে তারা বলল, আচ্ছা, বলুন তো ভাই, আকাশে কয়টা চাঁদ দেখা যাচ্ছে?আকাশের দিকে তাকাল সে, তারপর বলল, কোন সারিতে?
১৫.
ক্রন্দনরত শিশুকে জিজ্ঞেস করা হলো, কাঁদছ কেন?
—বাবা মেরেছেন।
—খুব ব্যথা পেয়েছ বুঝি!
—মোটেও না।
—তাহলে কাঁদছ যে!
—বাবাকে খুশি করার জন্য।
১৬.
ডাক্তার রোগীকে প্রশ্ন করলেন, অপারেশন করাটা যদি জরুরি হয়ে পড়ে, আপনি তার খরচ দিতে পারবেন?
পাল্টা প্রশ্ন করল রোগী, খরচ যদি দিতে না পারি, অপারেশনটা কি তবু জরুরি হয়ে পড়বে?
১৭.
নিউইয়র্কে বেড়াতে গেলে ড্রাকুলা কোথায় থাকে?
—ভ্যাম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ে।
১৮.
ওয়েটারকে প্রশ্ন করা হলো, আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন কী?
—সেদিন আসবে কবে, যেদিন থেকে লোকজন রেস্টুরেন্টে খাওয়া বন্ধ করে দেবে, তবে টিপস পাঠাবে মানি-অর্ডার করে?
১৯.
অভিযোগের সুরে স্ত্রী স্বামীকে বলল, বিয়ের আগে তুমি বলতে, আমি নাকি তোমার ‘সূর্য’। তাহলে এখন প্রতিদিন বারে গিয়ে বিয়ার খাও কেন?
—কী আশ্চর্য! সূর্যের গরমে তেষ্টা পাবে, সেটাই স্বাভাবিক না?
২০.
বিচারক আসামিকে, নকল টাকা বানিয়েছিলেন কেন?
—আসল টাকা বানাতে শিখিনি বলে।
২১.
কিন্ডারগার্টেনে প্রথম দিনে শিশুদের প্রাথমিক নির্দেশনা দিচ্ছেন শিক্ষিকা, ‘কারোর বাথরুম পেলে জায়গায় বসে হাত তুলবে।’
এক শিশু জিজ্ঞেস করল, ‘তাতেই কাজ হবে?’
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন