রাত সাড়ে দশটার পর বুয়েট ক্যাম্পাসের মূল ফটক বন্ধ হয়ে যায়। সেমিনার রুম বলে একটা জায়গা আছে, যেখানে যাওয়ার জন্য দুইদিন আগে আবেদন করতে হয় এবং তারপর কয়েকদিন ঘুরে হয়ত অনুমতি পাওয়া যায়। বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য এমন নানান নিয়ম থাকলেও, ছাত্রনীতি নিষিদ্ধ হওয়া এই ক্যাম্পাসে বহিরাগত ছাত্ররাজনীতির নেতাদের জন্য নিয়মটা অবশ্য ভিন্ন। তারা চাইলে রাতের বেলাও ঢুকতে পারে। বুয়েটের সেমিনার রুম ব্যবহার করে সভাও করতে পারে। এমন নানান বিষয় নিয়ে বুয়েট প্রশাসনের মন কেমন তা ভাবার চেষ্টা করেছে eআরকি।
১#
সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেমিনার রুমের পারমিশন নিতে গেলে বুয়েট প্রশাসন:
ডিএসডব্লিউ বরাবর অ্যাপ্লিকেশন দাও। দিয়ে বসে থাকো। আমাদের যখন মর্জি, তখন অনুমতি দেবো। না দিলে নাই।
২#
বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক হল থেকে অন্য হলে ঢোকার সময় বুয়েট প্রশাসন:
নাম লিখে ঢুকেন। আপনি বুয়েটের তো? আইডি কার্ড দেখি? ফোন নম্বর দেন, কার কাছে যাচ্ছেন, তার ইনফরমেশন লেখেন, বের হওয়ার সময় নাম কাটাবেন।
৩#
কোনো অনুষ্ঠানের পারমিশন নিতে গেলে বুয়েট প্রশাসন:
রাত দশটার মধ্যে শেষ করতে হবে। না হলে আয়োজকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ। আগেও এই নোটিশ পেলে হলের সিট বাতিল।
৪#
রাতে হলে ব্যাডমিন্টল খেলতে গেলে কিংবা বারবিকিউ করতে গেলে বুয়েট প্রশাসন:
এত রাতে এসব করা যাবে না। কারণ দর্শানোর নোটিশ।
৫#
ছাত্রী হলে সাড়ে দশটার পর কেউ ঢুকতে গেলে বুয়েট প্রশাসন:
যত কিছুই হোক, সাড়ে দশটার পরে বাইরে থাকা যাবে না। ষোলোই ডিসেম্বরে দেয়ালচিত্র আঁকতেও না, কনসার্ট থাকলেও না। এটাই স্বাধীন বাংলাদেশের নিয়ম।
৬#
যেকোনো ছাত্রবান্ধব দাবি বুয়েট প্রশাসন:
(শোনার আগেই) না না। এসব করা যাবে না। বুয়েটের একটা রুলবুক আছে, তার বাইরে কিছুই করা যাবে না।
৭#
রাত তিনটায় বহিরাগত ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের বুয়েটের সেমিনার রুমে ঢুকে মিটিং করার সময় বুয়েট প্রশাসন:
আইলোরে নয়া দামান আসমানেরও তারা, বিছানা বিছাইয়া দিলাম শাইল ধানের নেরা। দামান বও দামান বও।