দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে চারপাশে চলছে নানান সমালোচনা। অনেকে ইনিয়ে বিনিয়ে নানানভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারকে দোষ দিচ্ছেন। এত কষ্ট করে দেশ চালিয়ে তো সরকারের দোষ নেয়ার কথা না। সেজন্য eআরকি খুঁজে বের করেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায় জনগণের ওপর চাপানোর ৭টি অকাট্য যুক্তি।
# মানুষ বেশি বেশি খায়
জনগনের খাওয়ার সময় তো হুঁশ থাকে না। একবার বসলে খেতেই থাকে, খেতেই থাকে। আবার দাম বাড়ালে জানায় অসন্তোষ। সব দোষ শুধু সরকারের। আমাদের দেশের মন্ত্রীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মানুষের জন্য কষ্ট করে। এই মন্ত্রীদের কথা ভেবে হলেও তো জনগণের উচিৎ রয়ে সয়ে খাওয়া।
# মানুষের বিকল্প ব্যবহারে অনিচ্ছা
সব জিনিসের তো আর দাম বাড়ে নাই। বেগুনের দাম বেড়েছে তো মিষ্টি কুমড়া খান। না, তা খাবেন না। সব দোষ মন্ত্রীদের। সিদ্ধ ডিম ফ্রিজে রেখে খান; তা ও করবেন না। মানুষ মনে করছে বেগুনে মধু আছে! মধুর দাম জানেন? এমপি-মন্ত্রীরা এতো কষ্ট করে বিকল্প দেখায় জনগণকে, সেদিকেও আপনাদের কোনো নজর নেই।
#বিএনপির হরতাল-অবরোধ
প্রতি বছর দুটি করে, কয়েকটা পূর্নিমা, এত এত পুজা; আর এই সব উৎসবের পরপর থাকে বিএনপির আন্দোলন। এত আন্দোলনের মধ্যে কি দাম ঠিক রাখা যায়। বিএনপির দোষ তো আছেই, দোষ আছে জনগণেরও। বিএনপির এইসব নাশকতা নিয়েও এই দেশের জনগণ কিছু বলে না। যেহেতু বলেন না, সেহেতু বেশি দামেই জিনিস খাবেন এটাই স্বভাবিক।
#ব্যবসায়ীরা না খেয়ে থাকবে নাকি?
দ্রব্যমূল্য যদি কম হয় তাহলে ব্যাবসায়ীরা আয় করবে কীভাবে? তারা খাবে কী? শুধু যদি জনগণের কথা ভাবেন, আমাদের ব্যাবসায়ীদের না খেয়ে থাকতে হবে। দেশে এত এত বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ থাকতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এমন অবিচার কীভাবে হতে দেবে? আপনারা যেমন মানুষ ওরাও তো মানুষ।
# দেশের উন্নয়ন চাইলে তো দাম বাড়াতে হবেই
মেট্রোরেল, টানেল, সেতু করতে গেলে তো একটু খরচ হয়ই। এই এত এত উন্নয়ন তো জনগণের জন্যই। এর জন্য যদি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিসপত্রের ব্যয় বাড়ে তবে তার ভার তো জনগনকেই বইতে হবে। এইসব সেতু আর টানেল দিয়ে তো রাজনীতিবিদরা আর ব্যবসায়ীরা চড়বে না, জনগণই বেশি চড়বে। একটু আরামের ঘুমাইতে হলে তো একটু বেশি দাম দিয়া জিনিস কিনতেই হবে। এটা নিয়ে তো এতো হাউকাউয়ের কিছু নাই।
# জনগণ উৎপাদন কমিয়ে দিলে তো দাম বাড়বেই
বিদেশের মানুষ নিজেদের খাবার নিজেরা উৎপাদন করে। আর আমাদের দেশে দেখুন, বেশিরভাগ মানুষই অলস। জমি আছে, বিটে আছে কিন্তু এরা এরা ঘুমিয়ে থাকে। নিজেরাই যদি নিজেদের চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল উৎপাদন করতো তাহলে তো আর বেশি দামে কিনে খেতে হতো না।
# ধর্ম থেকে দূরে সরে যাওয়া
চারপাশে খেয়াল করে দেখুন, আধুনিকতার নামে আমরা ধর্ম থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি। এখানে সেখানে কনসার্ট হয়, পোলাপান গান শুনে, নামাজ-কালাম পড়ে না। ইসলামিক অনুশাসনে চলে না। এভাবে থাকলে তো সৃষ্টিকর্তার রহমত উঠে যাওয়ার কথা। এর প্রভাব তো দ্রব্যমূল্যের উপর পড়বেই। দোষ তো জনগণেরই।