-নীতু, সম্পর্কের এতোদিন পর এসে বলছো তুমি আমাকে বিয়ে করবা না?
-শুধু তোমাকে না, কাউকেই করবো না।
-কিন্তু কেনো?
-আমি আমার ডিম পোচের ভাগ কাউকে দিতে পারবো না।
-তোমার ভাগ কে চাইছে?
-কেউ চায় নাই। কিন্তু বিয়ে করলে স্বামীকে ডিম পোচের ভাগ দিতে হয়। এটা আমি জানি।
-আমি তোমার ডিম পোচ খেয়ে ফেলবো?
-হ্যাঁ
-আরে বাবা! আমার জন্যও তো ডিম কিনবো। নাকি?
-কিন্তুু এমন কোনোদিন যদি হয়, ঘরে একটা ডিমই আছে?
-বাইরে গিয়ে ডিম কিনে নিয়ে আসবো।
-যদি বাইরে দোকান বন্ধ হয়ে যায়? ধরো রাত অনেক হয়ে গেলো।
-তাহলে আমি ডিম পোচ খাবো না।
-তোমাকে না দিয়ে খেতে পারবো না। স্বামীকে না দিয়ে খেলে স্ত্রীর অমঙ্গল হয়।
-আচ্ছা ঠিক আছে। বিয়ের পর আমরা একটা ডিমের দোকান দিয়ে দিবো। তাহলে আর কোনো প্রবলেমই হবে না। দোকানের পেছনে একটা ছোট্ট ঘর বানাবো। সেখানেই আমরা টোনাটুনির সংসার করবো আর কুটুর কুটুর করে ডিম পোচ খাবো।
-তবুও তো এমন দিন আসতে পারে যে ঘরে একটাই ডিম আর দোকানেও কোনো ডিম নেই? পারে না আসতে?
-দোকানে ডিম থাকবে না কেনো?
-হয় না এমন? ধরো বিরোধীদলের হরতাল কিংবা কারফিউ, ডিমের গাড়ি শহরে ঢুকতে পারেনি। অথবা কৃত্রিম ডিম সংকট। এমন তো হয়।
-হয়।
-তখন কী করবা?
-(প্রচন্ড রেগে) আমি ডিম পাড়বো। ঠিক আছে?
-মিথ্যাবাদী কোথাকার। তুমি ডিম পাড়তে পারো? আমি কোনো মিথ্যাবাদীর সাথে সংসার করতে পারবো না...
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন