পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রাণি নীল তিমি। এতই বড় এই প্রাণি, দশটা বিশাল সাইজের আফ্রিকান হাতিকে আক্ষরিক অর্থেই লেজে-খেলাতে পারে। এই নীল তিমিকেই দুয়েকদিন হলো দেখা যাচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে চট্টগ্রামে ছুটে আসতে।
কিন্তু কেন? জিজ্ঞেস করা হয়েছিল চট্টগ্রামের বুকে ভেসে বেড়ানো এক নীল তিমিকে। জবাবে তিমিটি বলে, ‘আমাকে বলছেন যে? বদ্দা ছট্টগ্রাম না আসি উপায় খী? থাকনের আর জায়গা রাখছেনি খোনো রুদানির ফুয়ারা?’
আমাদের পরিদর্শক থতমত খেয়ে বলেন, ‘আপনি লোকাল ভাষা শিখলেন কীভাবে? আর আপনার ভাষা তো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।‘
জবাবে তিমি জানায়, ‘চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে থাকতেই এই ভাষা শিখে নিয়েছি। আপনার বোঝার জন্য প্রমিত বাংলায় বলছি। নীল তিমি আরাম করে থাকতে পারবে, সমুদ্রে এত পানি কোথায়? পানি এখন সব আছে চট্টগ্রাম শহরে। এখানকার হালিশহর, নাসিরনগর, জিইসির মোড়ে যে ঢেউ, তিমিরা এখানেই সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ।‘
শপিংব্যাগ হাতে দেখা হলো আরেক তিমি গৃহবধূর সাথে। উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে এই তিমি জানায়, ‘চট্টগ্রামের আড়ং, স্বপ্ন, মীনাবাজারের তুলনা নেই। মনভরে শপিং করলাম। ধ্যাদ্ধেড়ে সাগরে এইসব পাবো কোথায়?’
চট্টগ্রামের পানি কমলে কোথায় যাবেন, এই প্রশ্নের জবাবে গৃহবধূ তিমি জানায়, ‘ইউরোপের রাস্তায় পানি কখনও কমবে না। আর যদি কমেও, প্রিয় নায়ক রিয়াজ নিশ্চয়ই আমাদের বলে দেবেন আর কোথায় কোথায় এমন ইউরোপের মতো রাস্তা পাওয়া যাবে।‘