একদিন হঠাৎ করে দেখলেন আপনার অ্যাকুরিয়ামে বড় হতে থাকা একটি গোল্ডফিশের শরীরের লাল রঙের ক্ষত। তখন আপনি কি করবেন? হয়তো তাকে বের করে ক্ষতটি দেখার চেষ্টা করবেন। তারপর হয়তো ওভাবেই রেখে দিবেন একুরিয়ামে। কিন্তু কেউ যদি আপনাকে বলে, মাছটি নিয়ে পশু ডাক্তারের কাছে যান, তাহলে অবাক হবেন নিশ্চয়ই। আর এই অবাক হবার মত কান্ডটিই করে বসেছে ইংলিশ এক পরিবার।
এই ইংলিশের পরিবারের একুরিয়ামে গোল্ডফিশ ‘বব’ প্রায় বিশ বছর ধরে বেড়ে উঠছিল। হঠাৎ একদিন মালিকের নজরে পড়েছে, ববের পাখনায় টিউমারের মত কিছু এটা হয়েছে। এরপর তিনি ববকে নিয়ে সোজা ওই অঞ্চলের সব চাইতে ভালো পশু ডাক্তার ডা. বেথহেলর কাছে। ডাক্তার টানা ৩০ মিনিট ধরে সার্জারি করে ববের শরীর থেকে টিউমারটি অপসারণ করেছেন।
সার্জারির সময় ববের শরীরে একটি ক্ষুদ্র হার্টবিট মনিটর লাগানো হয়, অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমে অজ্ঞান করা হয় ববকে। এই সার্জারি সম্পর্কে ডা. বেথহেল জানান, বব তার কাছে চিকিৎসা পাওয়া সবচেয়ে বেশি বয়সী গোল্ডফিশ। তিনি এই সার্জারিতে ব্যবহার করেছেন বিশেষ ধরণের মাইক্রো সার্জারির যন্ত্রপাতি। তিনি জানান, বব এখন পুরোপুরি সাঁতার কাটতে না পারলেও আগামী এক সপ্তাহের মাঝে পুরোপুরি সাঁতার কাটতে পারবে।
এই সার্জারিতে ববের মালিকের খরচ হয়েছে ২৫০ ইউ এস ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২০ হাজার টাকা।
সার্জারির জন্য অপারেশন কক্ষে বব। কানের পাশে দেখা যাচ্ছে তার টিউমার।
কৃত্রিমভাবে ববকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।
অপারেশনের মাধ্যমে অপসারন করা হচ্ছে ববের টিউমার!
মাছের অপারেশন মোটেও সহজ কোন কাজ নয়!
চলছে চুড়ান্তভাবে টিউমার অপসারনের কাজ!
অপারেশনের পর অপারেশন থিয়েটারের পাশের ছোট্ট চৌবাচ্চায় বব।
পুরোনো ডেরায় ফিরে এসেছে বব অপারেশনের পরে। এখনও ঠিকমতো সাঁতার কাটতে না পারলেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে ববের আরও বেশ কিছুদিন লাগবে।
তথ্যসূত্র ও ছবি: টোল বার্ন ভেট ডটকম ও বোরডপান্ডা ডটকম