নীতা আম্বানির পানির দাম নিয়ে বাংলাদেশি পত্রিকা অফিসগুলোতে এক প্রকার জোয়ারই এসে গেছে৷ আলাদা আলাদা চাঞ্চল্যকর অনুসন্ধানের মাধ্যমে নীতা আম্বানির পানির ভিন্ন ভিন্ন দামের তথ্য পেয়েছে তারা৷ ৫১, ৫২, ৬৫, ৮৫ লাখ এমন নানা দামে দিশেহারা স্বয়ং নীতা, মুকেশও। বাংলাদেশি পত্রিকা পড়ে দ্বিধায় ভোগা মুকেশ আম্বানি পত্রিকাগুলোর কাছেই নীতার পানির প্রকৃত দাম জানতে চেয়েছে বলে জানা গেছে৷
ফেইক এই সূত্রটি থেকে আরও জানা যায়, পানির নানান রকম দাম দেখে নীতা-মুকেশের সংসারে অশান্তিও সৃষ্টি হয়েছে৷ মুকেশের ধারণা, পানির জন্য বেশি টাকা নিয়ে কম টাকার পানি খেয়ে বাকি টাকা নীতা মেরে দিচ্ছে। এমন ভাবনায় হতাশায় মুষড়ে পড়া মুকেশ বলেন, 'পরিবারের ভিত্রে দুর্নীতি ঢুকে গেছে ভাই৷ অয় আমার কাছ থেকে ঠিকই ৮৫ লাখ টাকা নেয়, কিন্তু পানি কেনে ৫১ লাখ টাকা দিয়ে৷ বাকি টাকা ও কী করে? এভাবে চলতে থাকলে তো একদিন আমাকে পথে বসতে হবে৷
মানিব্যাগ থেকে একটা ৫০০ টাকার নোট বের করে তা দিয়ে কপালের ঘাম মুছে তিনি বাংলাদেশি পত্রিকাওয়ালাদের উদ্দেশে বলেন, 'আপনারা প্লিজ বলিষ্ঠ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মাধ্যমে পানির প্রকৃত দামটা জানিয়ে আমাকে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে বাঁচান৷'
ক্ষোভ রয়েছে নীতারও৷ এসবের জন্য মুকেশকেই দায়ী করছেন তিনি৷ তিনি বলেন, 'পানি তো আমি আনি না! পানি আনে ওর লোকে। টাকা যা মারার ওরা মারে৷ আর আমার নাতী-নাতনীরা আছে, ওদেরকে চকলেট, এটা সেটা কিনে দেয়া লাগে৷ ওই খরচ আমি কই পাই? তাই পানির দাম থেকে কিছু টাকা সেভ করে আমি অনেক কষ্টে দিন কাটাই! ওর সংসারে কিছু টাকা সেভের জন্যই তো আমি এমন করি! আর আজ ও আমাকে অপবাদ দিয়েছে! এই সংসার আমি টিকিয়ে রেখেছি! তার বিনিময়ে ও আমাকে কী দিয়েছে! শুধু মাত্র আমিই বলেই নিজের খাওয়ার পানির টাকা থেকে টাকা সেভ করে এই সংসারে টিকে আছি। অন্য কেউ হলে কবে চলে যেত!'
এ বিষয়ে বাংলাদেশি পত্রিকাওয়ালাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা বলেন, 'ধুরু মিয়া! এইসব দাম টাম পরে... নীতা-মুকেশ ঝগড়ার সময় কোন কোন দামি জিনিস ভাঙছে আগে ওইটা অনুসন্ধান করে আসি।'