ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেডসের মালিক মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গের পড়াশোনা কলেজ পর্যন্ত। বলা যায়, তিনি ইন্টার পাশ। একজন ইন্টার পাশ মানুষ কীভাবে মেটার মতো বিশাল প্রতিষ্ঠানের সিইও হয়, এ নিয়ে চুল ছিঁড়ছেন অনেকেই। যে ব্যক্তির বিসিএস পরীক্ষায় বসার যোগ্যতা নেই, তিনি কীভাবে একটি বহুজাতিক সংস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছেন—এই প্রশ্নে অনেক বাংলাদেশিরই ঘুম হারাম।
ইন্টারপাশ ব্যক্তিরা আসলে কোনো পদে যাবারই যোগ্য না, যার ফেসবুক অফিসে বসে চা বানানোর যোগ্যতা নাই, সেই ব্যক্তিই সিইওর চেয়ার দখল করে আছে, এই বলে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন এক উদীয়মান তরুণ। তার মতে যারা ইন্টারের বেশি পড়াশোনা করেনি তাদের আসলে কোনো পদে যাবার যোগ্যতা নেই, হোক সেটা উপদেষ্টা কিংবা কোনো পদের সিইও।
মেটা কর্তৃপক্ষের নজর কাড়তে ফেসবুকে #StepDownZuckerberg দিয়ে ছয়লাব পোস্ট করছেন হাজার হাজার মানুষ। এতে মেটার অফিসেও তৈরি হয়েছে থমথমে পরিবেশ। অনেকে বলাবলি করছেন, জাকারবার্গের সিইও পদ নিয়ে পরিচালনা বোর্ডে চলছে গভীর আলোচনা, যা কর্মীদের কর্মক্ষমতার মধ্যেও প্রভাব ফেলেছে।
মেটার পরিচালনা বোর্ডের সাথে আমাদের একজন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি কথা বলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বোর্ড সদস্য জানান, জাকারবার্গের ইন্টার পাশ হওয়ার ব্যাপারটি অনেক বাংলাদেশি ব্যবহারকারীকে মনে আঘাত করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি এবং আশা করছি, দ্রুতই এ বিষয়ে একটি ইতিবাচক আপডেট দিতে পারব।
মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মজা করে বলেন, আগে জানলে, নকল করে হলেও হার্ভার্ডের পড়াশোনা শেষ করতাম। আমার পড়াশোনা নিয়ে এত চিন্তা দেখে ভালো লাগছে। আপনাদের ইচ্ছে থাকলে আমি আবার হার্ভার্ডে ভর্তি হতে পারি, তবে সবার দোয়া লাগবে।
এদিকে ফেসবুকে এক তরুণ বুদ্ধিজীবী স্ট্যাটাসে লিখেছেন, একজন ইন্টার পাশের তৈরি করা সাইট চালাচ্ছি, যে কিনা কলেজও শেষ করতে পারেনি। তার আবার কীসের সিইও পদ? জাকারবার্গের উচিত বাংলাদেশে এসে ফুচকা বিক্রি করা!