দেশীয় নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামীলীগের অন্যতম মুখ ছিলেন রিয়াজ-ফেরদৌস জুটি। এই দুজনের মধ্যে ফেরদৌসের আবার রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও রাজনৈতিক প্রচারণার খ্যাতি। পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনী র্যালিতে অংশ নিয়েছিলেন এই অভিনেতা। রিয়াজের এমন অভিজ্ঞতা না থাকলেও দেশীয় নির্বাচনী প্রচারাণায় ট্রাকে নেচে-গেয়ে তাকে টেক্কা দেওয়ার মতো ক্যান্ডিডেট এ দেশে তো নেই এমনকি পুরো পৃথিবীতেই নেই।
রাজনৈতিক পালাবদলের কারণে দুজনেই এখন গর্তে থাকায়, তাদের নিজের নির্বাচন প্রচারণার কাজে লাগাতে না পেরে বেশ হতাশ ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দুজনকে ট্রাকে নাচিয়ে রাস্তায় রোড-শো করার পরিকল্পনা ছিল ট্রাম্পের। কিন্তু অনেক চেষ্টা করে দুজনের একজনের খোঁজও বের করতে পারেনি ট্রাম্পের লোকজনেরা। নিজের হতাশা প্রসঙ্গে কাল্পনিক এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আমাদের বলেন, আপনারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দুটো রত্ন হারালেন। তেলবাজিতে পিএইচডি ডিগ্রিধারী এমন মানুষ আমাদের দেশে থাকলে আমি ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে তাদের মূর্তি বানিয়ে রাখতাম। কী একটা ক্ষতি করলেন আমার দেখেন তো, রিয়াজ-ফেরদৌস ভাইকে ট্রাকে নাচাতে পারলেই বাংলাদেশি ভোটব্যাংক পুরোটা আমার দখলে থাকত। এখন আমার চোখের সামনেই কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া। তবুও কথা দিলাম আমি নির্বাচিত হলে রিয়াজ--ফেরদৌস ভাইকে আমেরিকায় নিয়ে এসে বিজয় র্যালি করাব।
অন্যদিকে অবিশ্বস্ত এক সূত্রের মারফতে জানা গিয়েছে, রিয়াজ-ফেরদৌসকে নিজের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ কমলা নিজেও। তবে আপাতত জায়েদ খানকে দিয়ে কাজ চালানো যায় কিনা সেটি নিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে কমলার কমিউনিকেশন টিম। নিউ-ইয়র্কের রাস্তায় জায়েদ খানকে দিয়ে কয়েকটি ডিগবাজি দেওয়াতে পারলেই হারানো সম্ভব ট্রাম্পকে, এমনটাই জানিয়েছেন আমেরিকার বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশেষ-অজ্ঞরা।