গতকাল মোটামুটি দূর্বিষহ একটা রাত কেটেছে রিয়াল মাদ্রিদ ফ্যানদের। ছাদ বন্ধ করে বার্সাকে ধবল ধোলাই করার পরিকল্পনা থাকলেও নিজেরাই এক হালি খেয়ে বসেছে বার্সার কাছে। অধিকাংশ মাদ্রিদ ফ্যানরা ইতিমধ্যেই গর্তে নিজেদের লুকিয়ে ফেললেও অনেকে এখনও বিষয়টি হজম করতে পারছেন না। হাজমোলার পাশাপাশি সারাক্ষণ বোরহানি খেয়ে চেষ্টা করছেন এই হার হজম করতে। মাদ্রিদ ফ্যানরা জানিয়েছেন বার্সাকে পরবর্তী ম্যাচে এর চরম মূল্য দিতে হবে, কারণ তারা ফিরে আসবেন ভয়ংকর রূপে। এমনকি ভয়ংকর রূপে ফেরার প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যেই হাজার খানেক মাদ্রিদ ফ্যান ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ হালা মাদ্রিদ সমিতি (বাহামাস) সভাপতি আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছিলেন এক কাল্পনিক সাক্ষাৎকারে, সেখানে তিনি বলেন, লা-লীগার প্রাচীনতম ক্লাব আমরা, সবচেয়ে বেশি ইউএসএল ও জিতেছি। কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা ফিরবোই, আপাতত ছাত্রলীগের কাছে ভয়ংকর রূপে ফেরার ট্রেনিং সেশন চলছে। সেশন শেষ হলেই খেলা হবে। ইউসুফ সরকার সাপোর্টের কারণে আজ বার্সা আমাদের সাথে এমনটা করতে পারল। ইউসুফ সরকারকেও আমরা ছেড়ে কথা বলব না, চরম মূল্য তাদেরকেও দিতে হবে। রাস্তাঘাটে লোকজন আমাদের ডিম উপহার দিচ্ছে, প্রতি হালি ডিমের দাম আসছে ফাল্গুনে দ্বিগুণ করে ফিরিয়ে দেবে প্রতিটি মাদ্রিদ ভক্ত।
অন্যদিকে গণহারে মাদ্রিদ সমর্থকদের নিজেদের সংগঠনে পেয়ে বেশ উচ্ছসিত ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা। তারা জানান অনেক কিছু হয়ে ফেরার চেষ্টা করেছেন এবার রিয়াল মাদ্রিদ হিসেবে ফেরার একটা শেষ চেষ্টা তারা করবেনই করবেন। তবে কীভাবে ফিরবেন সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন ‘আপাতত ফুটবল মাঠে হেলমেট হকিস্টিক ব্যবহারের টেকনিকগুলো শেখানো হচ্ছে, এরপর আরো প্রতিপক্ষের হাত-পা ভাঙাও শেখানো হবে। রিয়াল মাদ্রিদের ভাইদের আমরা বলতে চাই, আপনাদের ভয় নাই আমরা রাজপথ ছাড়ি নাই।
বলেই ভাইটি সহ তার সাথে থাকা অন্যন্য ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা পুলিশ আসতে দেখে জার জার ওবস্তান থেকে পালিয়ে যান।