রুশকিয়ে শুতকি : রুশ থেকে সরাসরি অনুবাদ করা ২০টি কৌতুক

১১৬১০ পঠিত ... ১০:০৯, নভেম্বর ০৬, ২০১৮

১.
কডলেস টেলিফোনে ক্রিং ক্রিং। রিসিভার ওঠালো এক শিশু । তারপর ফিসফিস করে বলল, হ্যালো।
: হ্যালো, তোমার বাবা বাড়ি আছে?
: আছে, কিন্তু সে ব্যস্ত।—ফিসফিস করে বলল শিশুটি।
: মা আছে?
: হ্যাঁ, মা আছে। কিন্তু মাও ব্যস্ত।—আবার ফিসফিসে কণ্ঠ।
: তাহলে কার সঙ্গে কথা বলব? বাড়িতে আর কেউ আছে?
: আছে। পুলিশ কাকুরা আছে, দমকল কাকুরা আছে।
: তাহলে অন্তত তাদের কাউকে দাও। খুব জরুরি কথা আছে।
: তাদেরও ডাকা যাবে না। তারাও খুব ব্যস্ত।
: হায় ইশ্বর! কী নিয়ে তারা এতো ব্যস্ত?
: আমি লুকিয়ে আছি। সবাই আমাকে খুঁজছে।

২.
ক্যাপ্টেন: সৈনিক, আপনি কি সাঁতার জানেন?
সৈনিক: জানি, স্যার।
ক্যাপ্টেন: কোথায় সাঁতার শিখলেন?
সৈনিক: পানিতে স্যার।

৩.
গাড়ির মালিক: আপনার দোকান থেকে গাড়ি কেনার সময় আপনারা বলেছিলেন, এক বছরের মধ্যে যা কিছু ভেঙে যাবে কিংবা নষ্ট হয়ে যাবে, তা বদলে দেবেন?
গাড়ি বিক্রেতা: ঠিক বলেছেন।
গাড়ির মালিক: গাড়ি চালাতে গিয়ে আমার নিচের পাঁটির চারটি দাঁত, দুইটা পাঁজরের হাড় ভেঙে গেছে। বদলে দিন। 

৪.
এক বৃদ্ধা গিয়েছে মাছের দোকানে মাছ কিনতে।
-মাছ বাসি নাকি তাজা?
-কী যে বলেন, দেখেন না এখনো জ্যান্ত।
-তাতে কি, আমিও তো জ্যান্তই। 

৫.
এক নব্য রুশ বারম্যানের হাতে ১০ ডলার দিল বিয়ার কেনার জন্য।
বারম্যান তৎক্ষণাত তার হাতে খুচরো ৫ ডলার ফেরৎ দিল। তা দেখে নব্য রুশ অবাক! বলল: তোমার কী হলো? আমি তো সবসময় বাকি পয়সা টিপস দিই।
-সেটা জানি স্যার। আজ বিয়ার নেই, তাই শুধু টিপসের টাকাটাই রাখলাম।

৬.
-বাড়িতে স্ত্রীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নেওয়া ভালো।
-মানে, পরিবারের প্রধান হিসেবে স্ত্রীকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য?
-আরে না। তাহলে প্রতি চার বছরে একবার করে নতুন স্ত্রী বেছে নেওয়ার পথ পরিষ্কার হয়।

৭.
দাদী: যা-ই বলিস! আমাদের সময় গানগুলো ছিল অনেকবেশি মেলোডিনির্ভর।
নাতনি: দাদী! এটা গান বাজছে না! মিক্সারমেশিন কাজ করছে।

৮.
নতুন গাড়ির দোকানে ঢুকেছে স্বামী-স্ত্রী। ঘুরে ঘুরে গাড়ি দেখছে।
রোম্যান্টিক কণ্ঠে স্ত্রী বলছে স্বামীকে: আমাকে কি এমন কিছু উপহার দেবে, যেটায় পা দিয়ে একটু চাপ দিলেই ৩ সেকেন্ডের মধ্যে কাঁটা উঠে যাবে শুন্য থেকে একশোতে।
স্বামী কিছু বলল না। কথাটা মনে রাখল।
পরদিন স্বামী কিনে নিয়ে এলো একটি ওজন মাপার যন্ত্র।
বলল: তুমি তো এটাই চাইছিলে! উঠে দাঁড়ালেই এক সেকেন্ডে কাঁটা উঠে যাবে ১০০তে।

৯.
দুই বান্ধবী গল্প করছে।
প্রথমজন: আর পারি না। বুঝেছিস! আমার স্বামী সবসময় তাঁর আগের বউয়ের কথা বলতে থাকে।
দ্বিতীয় জন: তাও ভাল! আমার স্বামী তো ভবিষ্যতে তার বউ যে হবে, তাকে নিয়ে কথা বলে।

১০.
কার স্ত্রী কতোটা ভালো তা নিয়ে কথা বলছে তিন বন্ধু।
প্রথম বন্ধু: আমার তানিয়ার কোনো তুলনা নেই। চা খেতে গিয়ে আমার হাত থেকে কাপ পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তানিয়া সেটা নিয়ে এমনভাবে আঠা লাগিয়ে দিল, যে বোঝারই উপায় নেই ওটা ভেঙেছিল।
দ্বিতীয় বন্ধু: একবার আমার প্যান্ট ছিড়ে গেল। আমার স্ভেতা এমনভাবে তা সেলাই করে দিল, দেখে বুঝতেই পারবে না ওটা কোনোকালে ছিঁড়ে গিয়েছিল।
তৃতীয় বন্ধু: আমার লূ্যবা আমার শার্টটা ধুয়ে দিয়েছে, তাকিয়ে দেখ, বোঝার উপায়ই নেই যে ওটা ধোয়া হয়েছে।

১১.
মনচিকিৎসকের কাছে এসেছেন এক নারী।
নারী: ডাক্তারসাহেব, আমার স্বামী নিজেকে নেপোলিয়ন ভাবা শুরু করেছে!
ডাক্তার: ঠিক আছে, চিকিৎসা শুরু করে দেব শিগগিরই।
নারী: কিন্তু ডাক্তার, চিকিৎসা করার চেয়ে তাকে কোনো এক দ্বীপে ছেড়ে দিয়ে আসা কি বেশি সহজ নয়?

১২.
একটা ঝাঁটা হাতে নিয়ে মুমূর্ষু বাবা ডাকলেন তাঁর ছেলেদের।
একটি ঝাঁটার কাঠি নিয়ে তা ভেঙে ফেললেন। এটা দেখিয়ে তিনি ছেলেদের বললেন, ‘দেখলি তো, একটা কাঠি সহজেই ভেঙে যায়।
এরপর দশটি ঝাঁটার কাঠি হাতে নিয়ে ছেলেদের সেদিকে তাকাতে বললেন।
একটু চেষ্টা করতেই ১০টি কাঠিই ভেঙে গেল।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাবা বললেন, ‘দুর শালা! ভেবেছিলাম, খুব ভালো একটা উপদেশ দেব তোদের! হলো না! 

১৩.
চিত্রশিল্পীর প্রদর্শনী চলছে। তিনি এলেন সন্ধ্যার পর গ্যালারিতে। গ্যালারির মালিককে জিজ্ঞেস করলেন, কেউ কি ছবি কিনতে চেয়েছে?
মালিক বলল, হ্যাঁ, হ্যাঁ। একজন এসে বলল, আপনার মৃত্যুর পর এই ছবিগুলোর দাম আকাশছোঁয়া হবে কিনা। আমি বললাম, অবশ্যই হবে। তখন তিনি একসঙ্গে ১৫টি ছবি কিনে নিলেন।
-দারুন তো! কে এই ভদ্রলোক?
-আপনার পারিবারিক ডাক্তার।

১৪.
দোকানে:
-বলুন তো, সত্যিই কি এই জুতো জোড়া ইতালি থেকে এসেছে?
-অবশ্যই! একেবারে সোজা ইতালি থেকে এসেছে।
-ঠিক বলেছেন। জুতো জোড়া দেখে মনে হচ্ছে ইতালি থেকে হেঁটে হেঁটে এসেছে!

১৫.
-বলুন তো, কে আপনাকে প্রতি দিন মদ খেতে বাধ্য করে?
-কেউ বাধ্য করে না। আমি স্বেচ্ছাসেবী।

১৬.
এক যুবক বইয়ের দোকানে এসে জিজ্ঞেস করছে: আপনাদের এখানে কি ‘সাতদিনে কোটিপতি হওয়ার সহজ উপায়’ বইটি আছে?
-আছে। তবে সে বইটি জোড়া হিসেবে বিক্রি করা হয়, ‘ফৌজদারি আইন, জেলখানা ও জেলের ভিতরে জীবন’ বইটির সঙ্গে।’

১৭.
স্বামী স্ত্রীকে: প্রতিজ্ঞা করো, আমি মরে যাওয়ার পর কাউকে ভালো বাসবে না।
স্ত্রী: সে প্রতিজ্ঞা করলাম। কিন্তু তুমি বেঁচে থাকা অবস্থায় এই প্রতিজ্ঞা রক্ষা করার তো দরকার নেই?

১৮.
ধোপদুরস্ত এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক ঢুকলেন বারে। বারম্যান তাঁর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, স্যার, কি পান করতে চান? বিয়ার, স্কচ, ভোদকা নাকি কনিয়াক?
: ধন্যবাদ, আমি পান করি না। একবার পান করেছিলাম, ভালো লাগেনি।
: তাহলে কি ধূমপান করবেন? বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট, চুরুট আছে আমাদের।
: ধন্যবাদ। আমি ধূমপান করি না। একবার করেছিলাম, ভালো লাগেনি।
: তাহলে কি একটু বিলিয়ার্ড খেলবেন?
: ধন্যবাদ। খেলব না। একবার খেলেছিলাম, কিন্তু আমার ভালো লাগেনি। আমি আসলে এ ধরনের বারে আসতে পছন্দ করি না। কিন্তু আমার ছেলে এই বারে দেখা করতে আসবে বলেছে, তাই অগত্যা...।
: স্যার, যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে একটা প্রশ্ন করি, এই ছেলেটা কি আপনার একমাত্র সন্তান?

১৯.
আমি স্থানীয় হাসপাতালে কল করলাম।
-এটা কি এখানকার হাসপাতাল?
-স্যার, তা নির্ভর করছে আপনি কোথা থেকে কল করছেন তার উপর।

২০.
পুরুষ আর পার্কিং স্পট এর মধ্যে পার্থক্য কী? এক মেয়ে জিজ্ঞেস করলো তার বান্ধবীকে।
-ভালোগুলো সব আগেই দখল হয়ে যায়।

১১৬১০ পঠিত ... ১০:০৯, নভেম্বর ০৬, ২০১৮

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

রম্য

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top