তথ্য বাতায়নের আরও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ। এখন হাতের কাছেই পাওয়া যাচ্ছে সকল নাগরিকের তথ্য। টেলিগ্রাম গ্রুপে ডুকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিলেই জন্ম তারিখ, ঠিকানা সব চলে আসছে। কথাটি শুনতে যতটা সহজ মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক মিশেলে বিষয়টিকে এতোটাই সহজ করতে পেরেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুবাধে আমি দীর্ঘদিন ইউরোপ-আমেরিকার নানান দেশের শিক্ষকতা করে বেড়িয়েছি। কিন্তু কোথাও এমন উন্মুক্ত তথ্যের সুবিধা পাইনি। আপনি জাস্ট একবার ভাবেন, নোয়াখালীর জলিল হয়ে আপনি একটা টেলিগ্রাম গ্রুপের মাধ্যমে বরিশালের খালেদের সকল তথ্য জানতে পারবেন। তথ্যের এমন স্বাধীনতা এর আগে কোনো দেশ দিতে পেরেছে কি না আমার জানা নেই।
ধরুন কেউ আপনাকে তার জন্মদিন জানাতে চায় না, কোনো সমস্যা নেই। টেলিগ্রামে জাস্ট একটা ক্লিকে আপনি পেয়ে যাবেন তার জন্মদিন। কারও ঠিকানা জানতে চান, এটা হয়ে গেছে এখন আগের চেয়ে আরও সহজ। কারও বাবার নাম, মায়ের নাম, স্ত্রী-স্বামীর নাম জানাও এখন হাতের তুড়ির ব্যাপার। আমি অবাক হয়ে ভাবি, সরকারের এই অসাধারণ উদ্যোগ দেশের মানুষের কষ্ট কতটা কমিয়ে দিয়েছে, হাজার সেবা-সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে মাত্র টেলিগ্রামে একটা ক্লিকে।
কবি রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তবে। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের এই সময়ে জন্ম নিলে হয়তো কবিগুরু লিখছেন, সকল তথ্য সকলের মোদের, সকল তথ্য পরের তরে।
যে সাড়ে ৫ কোটি স্মার্ট এনআইডির তথ্য ফাঁস হয়েছে তাদের সবাইকে ডরিন চৌধুরীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন। ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্য বাতায়নের অগ্রহ সৈনিক হিসেবে আপনাদের এই দেশে মনে রাখবে। পাশাপাশি যাদের তথ্য ফাঁস হয়েছে তাদেরও মন খারাপ করার কিছু নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ যে গতিতে এগোছে, একদিন আপনাদেরও হবে।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন