বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার আইবিএকে বহিরাগত হিসেবে ঘোষণা দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ। আইবিএ বহিরাগত কেন এটির স্বপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে এক ঢাবি ছাত্র আমাদের বলেন, একই ক্যাম্পাসের হয়েও ওরা নিজেদের গর্বিত ঢাবিয়ান পরিচয় লুকিয়ে রাখে। সব জায়গায় নিজেদের পরিচয় দেয় আইবিয়ান হিসেবে। এমন বেইমানের বেইমানরা বহিরাগত নয়ত কী? এ ক্যাম্পাসের সা,সপ এবং শিঙাড়া থেকেও ওদের বঞ্চিত করার দাবি জানাই।
অন্যদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর কাল্পনিক প্রতিবাদ জানিয়েছে আইবিএ শিক্ষার্থীরাও। ঢাবিকেও নিজেদের ক্যাম্পাসের বহিরাগত হিসেবে দাবি করে তারা। আইবিএর এক শিক্ষার্থী ভাঙা ভাঙা বাংলায় আমাদের বলেন, আইবিএকে বহিরাগত হিসেবে বলার আগে এখানে চান্স পেয়ে দেখান। আর আমরা আপনাদের মতো গরিব নই যে সা,সপ আর শিঙাড়া থেকে বঞ্চিত করবেন, ওগুলো আমরা খাই-ই না। আমরা খাই ফ্রায়েড রাইস আর বার্গার।
এই শিক্ষার্থীর বক্তব্যের পর টুইটারে বেশকিছু এক্স-ঢাবিয়ান টুইট করে বলেন, আগে চান্স পেয়ে দেখান ঢাবির নিজস্ব ইনটেলেকচুয়াল সম্পত্তি, কোনো আইবিএ শিক্ষার্থী নিজেদের স্বার্থে এটি ব্যবহার করতে পারেন না। আপনারা আগে এখানে চান্স পেয়ে দেখান।
তবে আইবিএ এবং ঢাবির এমন গ্যাঞ্জামের মাঝে বেশ ঝামেলায় আছেন মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া আদুভাইরা। সেশন শেষ হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনও হলে আছেন এমন এক আদুভাই, ডরে আমার শরীর কাঁপতাছে’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে একটি টুইটও করেছেন বলে জানতে পেরেছি আমরা।