বাঁশ বলতে গেলে আমাদের জাতীয় খাদ্যে পরিণত হয়েছে, না বাঁশ কোড়লের কথা বলছি না। রোজকার জীবনে পরিবার, সরকার এবং কর্মক্ষেত্রে এত পরিমাণে বাঁশ খেতে হচ্ছে যে পেটে অন্য কিছু খাওয়ার আর জায়গা থাকছে না। এসব নিয়ে হা-হুতাশ করতে করতেই জানা গেলো শুধু আমরা মানুষরা না, এদেশে স্থাপনাদেরও আমাদের চেয়ে বেশি বাঁশ খেতে হয় এবং বিষয়টি নিয়ে তারাও বেশ নাজেহাল। তেমনই এক সরকারি প্রকল্পের বিল্ডিং কাল্পনিক সাক্ষাৎকারে আমাদের জানিয়েছেন তার মনের দুঃখের কথা
প্রতিবেদক: কেমন আছেন ভাই?
বিল্ডিং: ভালো নারে ভাই খুব নড়বড়ে অবস্থায় আছি, যেকোনো সময় ধ্বসে যেতে পারি।
প্রতিবেদক: বলেন কী? এই দুরবস্থা কেন?
বিল্ডিং: আর বইলেন না, আপনারা মানুষরা সারাদিন বাঁশ খাওয়া নিয়ে হা-হুতাশ করেন। কিন্তু আপনারা একা না, আমাদেরও বাঁশ দেওয়া হয়! আপনাদের থেকে বেশিই দেওয়া হয়। আমাকেই দেখেন… শরীরে রড পাবেন দুই একটা, বাকি সবই বাঁশ। উন্নয়ন প্রকল্পে রডের টাকা মেরে বাঁশ দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদক: আহারে, ব্যাপারটা দুঃখজনক, আপনার জন্য আমাদের সমবেদনা রইল।
বিল্ডিং: সমবেদনা ধুয়ে কী আমি পানি খাব নাকি? এইতো সেদিন দুনিয়ায় আসলাম, দুনিয়া ঠিকঠাক দেখার আগেই আপনাদের জন্য বিদায় নিতে হবে। আমার এক কাজিন ব্রিজ তো উদ্বোধনের আগেই ধ্বসে পড়লো।
প্রতিবেদক: বাঁশ দিলে কেমন বাঁশ দেওয়া হয় আপনাদের?
বিল্ডিং: চোখে পানি এসে গেলো ভাই, বাঁশ দিলেও একটু শক্তপোক্ত বাঁশ দিতে হয়, আমাদের দেওয়া হয় একদম চিকন দুর্বল বাঁশগুলো। নিজের বিদেশের ভাইব্রাদারের সামনে লজ্জায় মুখও দেখাতে পারি না।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন