কায়রো গেলাম, কাশী গেলাম, এলাম দেখে কাবুল;
যেই শহরে দু-চোখ গেছে, সেই শহরেই আবুল!
আবুলগণের জয়ধ্বনি পাচ্ছে জগৎ টের,
বরিশালের আবুল কাশেম বাংলাদেশের শের।
তোমরা যারা আবুল আছো, আওয়াজ আবার তোলো;
আবুল কালাম লিখে গেছেন— ভারত স্বাধীন হলো।
নগদ ছড়া যাচ্ছি লিখে, বাকির খাতা ফাঁকির;
ভারতমাতার রাষ্ট্রপতি ছিলেন আবুল পাকির।
জগৎজুড়ে চলছে বেজে আবুলগণের গজল,
লেখায়-লেখায় ঝড় তুলেছেন লেখক আবুল ফজল।
আবুল হাসান লিখল কত অশ্রুপাতের আয়াত,
নাটকপাড়ার জাতির পিতা বৃদ্ধ আবুল হায়াৎ।
আবুলগাথা শেষ কি হবে লিখেও হাজার বালাম?
কণ্ঠ দিয়ে মঞ্চ কাঁপান আজাদ আবুল কালাম।
বরকতও যে আবুল ছিলেন, দামাল ছেলে মায়ের;
অভিনয়ের অমর বুড়ো আরেক আবুল খায়ের।
আবুল গুনে শেষ হবে না, ব্যর্থ ধারাপাতও;
আবুলনাচের মুদ্রা জানেন আবুল বারাকাতও।
বাদ যাবে না কোনোই আবুল, বাদ যাবে না শিশু;
সৈয়দ আবুল মকসুদেরা পরেন শাদা টিশু।
হাসু আপাও শখের বশে দুইটি আবুল পোষেন,
একটি হলো দৌড়ে-জেতা সৈয়দ আবুল হোশেন।
তোমরা যারা আবুলবাদী, আসবে না তো তেড়ে?
বলে যদি দেই জাতিকে— আরেক আবুল কে রে?
আবুলনাচের ইতিকথায় যে যা-ই তোরা ভাবিস;
বাংলাদেশে খুব বেশি না, একটা আবুল রাবিশ।
দিস রে যত ডিম্ব আমায়, করিস যত জেরা;
বুক ফুলিয়ে বলব আমি— আমার আবুল সেরা।
আমার আবুল ফটকা আবুল, বেফাঁস তাহার ঠোঁট;
জানেই না সে— রাষ্ট্রে আছে দু-এক টাকার নোট!
কিন্তু নিধি রাম যে আমি, আমার বিধি বাম;
জানতে তোরা চাস নে কেহ সেই আবুলের নাম।
মাতাল যেমন মত্ত থাকে নিত্য নতুন মদে,
আমার আবুল আঁকড়ে আছে আশির পরও পদে!
ডোবেও যদি নৌকো সাধের, বৈঠা-লগি-পাল;
ছাড়বে না রে হাসু আপা এমন আজব মাল!
কোথাও কোনো মাল দেখিনি এমন মালের মতোন;
দেখে যেতে পারব কি এই বাতিল মালের পতন?
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন