সামনেই গরমের ছুটি। লম্বা ছুটিতে কোথাও ঘুরতে যেতেই পারেন। ভাবছেন কোথায় যাবেন? যদি আপনার বাজেট মাঝারি মানের হয় এবং সময় স্বল্পতা থাকে তাহলে ঘুরে আসতে পারেন হোটেল রেইনট্রি।
সিলেটের রাতারগুলের পর এটাই নব্য আবিষ্কৃত মনোরম এক স্থান। জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি সম্প্রতি এই হোটেলকে 'হেরিটেজ সাইট' হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এছাড়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এই হোটেলকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে রাখারও পরিকল্পনা করেছে। তাই হোটেলটি জাদুঘরে চলে যাওয়ার আগেই ঘুরে আসতে পারেন স্বর্ণমিয়াদের লীলাভূমি হোটেল রেইনট্রি। এ যেন বৃষ্টির নরম ছোঁয়া।
অবস্থান
এটি ঢাকা শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত। জায়গাটার নাম বন বনানী পরিবেষ্টিত বনানী। শহরের কেন্দ্রস্থল এয়ারপোর্ট থেকে বিমানে মাত্র ৫ সেকেন্ডের পথ।
কিভাবে যাবেন
প্রথমেই আপনি মিরপুর দুই নাম্বার থেকে বিহঙ্গ বাস এ উঠে ফার্মগেট যাবেন। বাস ভাড়া পড়বে দশ টাকার মত। তারপর সেখান থেকে টঙ্গী আবদুল্লাহপুরগামী বাসে উঠে চেয়ারম্যান বাড়ির কাছাকাছি কোথাও নেমে পড়ুন।
এরপর বনানীর কে-ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে গেলেই দেখতে পাবেন বিশাল অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করছে এই হোটেল। নাম ফলক দেখে আপনার আর বুঝতে বাকি থাকবে না যে এইটাই সেই হোটেল রেইনট্রি।
থাকবেন কোথায়
আপনার পকেটে যদি টাকা না থাকে তবে বনানীর আশে পাশে কোন বন্ধুর বাসায় থাকা যায় কিনা খুঁজে দেখুন। আর যদি বড় কোন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে আপনার বন্ধু হয়ে থাকে, তবে বুকিং দিতে পারবেন হোটেল রেইনট্রিতেই!
যা যা দেখতে পারেন
শুল্ক মুক্ত মদ : হোটেলের বিভিন্ন কক্ষে আছে অতি মনোরম বোতলে শুল্কমুক্ত মদ। রেইনট্রি হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার ধারাবর্ণনায় বলেবেন যে, এইসব সুদৃশ্য বোতলের অ্যালকোহল তিনি পর্যটকদের জন্য আনিয়ে রেখেছেন। আপনি চাইলে দু পেগ মেরেও দিতে পারেন। এতে হোটেল আপনার কাছে আরো এঞ্জয়েবল হবে।
ধর্ষক : এই হোটলটি ধর্ষকদের অভয়ারন্য। এখানে আপনি নানা ধরণের ধর্ষকের দেখা পাবেন। অশিক্ষিত, বর্বর ধর্ষক যেমন আছে, তেমনি ফেসবুক ধর্ষক, ব্যবসায়ী ধর্ষক, ব্যবসায়ীর ছেলে ধর্ষকেরও কমতি নেই। তবে কুখ্যাত কিছু ধর্ষককে দেখতে আপনাকে আলাদা করে টিকিট কাটতে হবে।
সুলভ মূল্যে ইয়াবা : হ্যাঁ, আপনি এখানে দেখতে পাবেন সুলভ মূল্যে অতি উন্নত মানের ইয়াবা ট্যাবলেট। যা খেলে আপনার শরীরে ভ্রমণের এনার্জি আসবে। মনে হবে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিছু একটা করে ফেলি! এরকম সুবিধা বাংলাদেশ কেন বিশ্বের অন্য কোথাও আপনি পাবেন না। গ্যারান্টি।
কালা ও বধির প্রসাশন : এই হোটেলে আপনি দেখতে পাবেন একদল সুদক্ষ কালা ও বধির প্রসাশক এবং সার্ভিস বয়। কানের সামনে ঘটলেও এনারা কোন আর্তনাদ শুনতে পান না, চোখের সামনে ঘটলেও এরা কিছু দেখতে পারে না।
এছাড়া বোনাস হিসেবে দেখতে পাবেন শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের অভিযান। অভিযানের সময় হোটেলের কর্মচারীদের ভেতর দৌড়াদৌড়ি লেগে যাবে। তখন ভয় পাবেন না।
সতর্কতা
ভ্রমন শেষে আপনি যদি সহিসালামতে ফিরতে পারেন, সেটা ভাগ্যের ব্যাপার। অথবা এই হোটেল ভ্রমন শেষে যদি নিজেকে রিমান্ডের চেয়ারে আবিষ্কার করেন, প্লিজ সেটা একদমই নিজ দায়িত্বে করবেন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন