যে কারণে আমি জিমে যাই

১৯১৬ পঠিত ... ০৪:৪৪, নভেম্বর ১০, ২০১৭

অলংকরণ: আয়ান

প্রথমে তাদের বক্স থেকে বের হলো ডিম। একটা-দুটা না! সাত-আটটা করে ডিম। ডিমের আবার বাহার দেখো- কুসুমের 'ক'টাও নেই, একেবারে চেঁচে-পুঁছে সাদা! সেই সাদা অংশে আবার ম্যাগি মশলা মাখানো!

আমি 'আহা ছিছি কী দরকার...' বলতে বলতে ডিম মুখে দিলাম। ওরে আল্লাহ... কী জিনিস মুখে দিলাম? কুসুম ছাড়া কেবল ম্যাগি মশলা মাখানো ডিম কোন ম্যাজিকে এতো মজা হয়? ভদ্রতার ধার না ধেরেই মুখে পুরলাম আরেকটা। তারপর আরেকটা!

আরেকজনের পুঁটলি থেকে বের হয়েছে কলা, সাথে প্যাকেটের রুটি। সে রুটির কত রকমের বাহার! মাখন দেয়া রুটি, স্ট্রবেরি দেয়া রুটি, চকলেট ফ্লেবারের রুটি! আমি কপকপিয়ে রুটি খেলাম, কামড় দিলাম সফেদ কলায়। বরফে রাখা ঠাণ্ডা কলায় পেলাম হিম হিম স্বাদ। ঘাম ঝরানো কাঠফাটা গলায় সে ঠাণ্ডা বড়ই প্রশান্তির।

শেষপাতে প্যাকেটের আমদুধ। পালোয়ানদের বোধহয় কেবল গায়ে-গতরেই বাড়েনা, কলিজার মাপও মনে হয় পাল্লা দিয়ে বাড়ে। 'ওরে গ্লাস আন, পাইপ আন' বলে যেভাবে সবাই আমদুধ-স্ট্রবেরি দুধ এগিয়ে দিলো, শেষ কবে এমন সমাদর পেয়েছিলাম স্মরণে নেই। আমদুধ খেয়ে চোখ মুছলাম। এ চোখ মোছা পরিতৃপ্তির। পেটের সাথে মন ভরলেই কেবল চোখ এমনভাবে সাড়া দেয়।

এরপরেও জিম ছাড়ে কোন পাগল? ডিমে-দুধে-কলায় বাংলার প্রতিটি কোনে কোনে গড়ে উঠুক জিম। পেশীতে-মগজে-হৃদয়ে প্রতিটি বাঙালিই হয়ে উঠুক এমন পালোয়ান!

অলংকরণ: আয়ান

১৯১৬ পঠিত ... ০৪:৪৪, নভেম্বর ১০, ২০১৭

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top