এই গৃহবন্দি নীরস দিনগুলোতে একটু রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে চাচ্ছেন? সিট বেল্ট বেঁধে নড়েচড়ে বসুন। কারণ মুভি সাজেশনে আপনার জন্য আজ থাকছে বক্স অফিস চুরমার করে দেয়া শ্বাসরুদ্ধকর হরর থ্রিলার 'ন ডরাই (দ্য ফিয়ারলেস ব্রাহ্মণবাড়িয়া)'।
মুভির নাম 'ন ডরাই' হলেও শুরুতেই দেখা যায় গোটা দেশ ভাইরাসের ভয়ে কম্পমান। এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে পাশাপাশি দুই গ্রামের বর্ডারে বসে নায়িকার চাচা এবং নায়কের বাপকে লুডু খেলতে দেখা যায়। হঠাৎ নায়িকার চাচা স্লো-মোশনে একটি পাকা ঘুটি খেয়ে ফেলে।
ঠিক তখনই মুভির নামকরণের স্বার্থকতা বের হয়ে আসে। সাঁই সাঁই করে ক্যামেরা ঘুরে যায় নায়কের বাপের দিকে। তার রক্তচক্ষু দিয়ে আগুন বের হতে থাকে। ততক্ষণে দুই দল গ্রামবাসী মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় প্রলয়ংকরী যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে গেছে। ভাইরাসের মধ্যে এই যুদ্ধ যেন গ্রীক যোদ্ধাদের সাহসকেও হার মানিয়ে দেয়। (ইন্টারমিশন)
ক্লাইমেক্স এখানেই শেষ নয়। মুভির দ্বিতীয় অংশে দেশের অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। দেখা যায়, করোনার কারণে সারা দেশ গৃহবন্দি। দেশ অলরেডি চতুর্থ স্তরের সংক্রমণে চলে গেছে৷ সারা দেশকেই ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি করোনার কারণে নায়ক-নায়িকার বিয়েও আটকে আছে।
ঠিক তখনই দুই গ্রামের মোড়ল চৌধুরী সাহেব ইন্তেকাল করেন৷ সবাই ভেবেছিলো ভাইরাসের কারণে জানাযায় স্বল্প সংখ্যক মানুষ হবে৷ কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেড়তলা মাদ্রাসা মাঠে জানাজায় হলো এক বিপুল জনসমাগম। দেশের এই কঠিন সময়ে সে এক অকল্পনীয় দৃশ্য! যেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোক মৃত্যুকে কোনোভাবেই ডরায় না। নিজের বা অন্যের, কারো মৃত্যু নিয়েই তাদের মনে বিন্দুমাত্র ডর নেই।
এখন কী হবে? ব্যাপক সংক্রমণে ছেয়ে যাবে ওই পুরো এলাকা, নাকি তা ছাপিয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে দেশের আনাচে কানাচে? আমরা আর স্পয়লার দিতে চাই না। রোমহর্ষক এই মুভির শেষ পরিণতির কথা জানতে চোখ রাখুন ফেসবুক ও নিউজে। কথা দিচ্ছি মুভি হয়তো শেষ হবে, কিন্তু তার রেশ থেকে যাবে অনেকদিন।
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন