চালের খনি আবিষ্কৃত হওয়ার পর যেভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কদর বেড়ে গেলো

৭৭১ পঠিত ... ১৮:২৮, এপ্রিল ১৫, ২০২০

 

৩০২০ সাল। বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা মাটির নিচে চালের খনি খুঁজে পেয়েছে। সেই খনি থেকে বস্তা বস্তা চাল বের হয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা মহা খুশি! খনি থেকে বস্তা ভর্তি চাল বের হওয়াতে খুব সুবিধা হচ্ছে! নয়তো চালে মাটি বালি মিশে থাকতো! আলাদা করতে তখন বেশ কষ্ট হত!

মুখে মুখে এই খবর ছড়িয়ে পড়লো সারা দেশে। খবরটা শুনে বিজ্ঞানীদের চেয়েও বেশি খুশি হলেন দেশের কৃষকরা! তারা বললেন, ‘কষ্ট করে আর ধান চাষ করতে হবে না! সেই ধান থেকে আর চাল বের করতে হবে না! এখন খনি থেকে বস্তা বস্তা চাল পাওয়া যাচ্ছে!’

এক কৃষক তো খুশিতে তার নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে এসে নিজের চোখে চালের খনি দেখে গেল! খনির চালের বস্তার সাথে গোটা দশেক সেলফিও তুলে গেল!

এই বিরাট সাফল্যে দেশের বিজ্ঞানীরা যখন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করছে, ঠিক তখনই বাঁধলো বিপত্তি! দেশের ইতিহাসবিদরা চালের খনির অস্তিত্ব উড়িয়ে দিলেন! তারা এক হাজার বছর পুরনো ইতিহাস খুলে বসলেন! তারপর সবাইকে দেখিয়ে বললেন,‘দেখুন, আজ থেকে এক হাজার বছর আগে মানুষরূপি কিছু কীট, নরপশু ও বেজন্মারা গরিবের জন্য বরাদ্দ সরকারি চালের বস্তাগুলো মাটির নিচে লুকিয়ে রেখেছিলো! তখন বেশ কিছু উদ্ধার হয়েছে! হয়তো আরো অনেক বস্তাই মাটির নিচে লুকিয়ে ছিলো, তাই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি!

দেশবাসী সবাই বললেন, ঠিক ঠিক।
ব্যস বেধে গেলো বিজ্ঞানী ও ইতিহাসবিদদের মধ্য গন্ডগোল!
বিজ্ঞানীরা এর শক্ত জবাব দেয়ার জন্য ভাড়া করলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ক গ্রামকে!

ইতিহাসবিদরাও কম যান না! তারাও এর পাল্টা জবাব দেয়ার জন্য ভাড়া করলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার খ গ্রামকে!
ক আর খ গ্রাম মিলে লুডু খেলার আয়োজন করলো।

৭৭১ পঠিত ... ১৮:২৮, এপ্রিল ১৫, ২০২০

আরও

পাঠকের মন্তব্য

 

ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।

আইডিয়া

গল্প

সঙবাদ

সাক্ষাৎকারকি

স্যাটায়ার


Top