আজকাল রাতে ভাত খাওয়ার সময় ইউটিউবে নাটক দেখি৷ ১০ মিনিটে দেখে ফেলা যায়। কারণ ইন্ট্রোর পর বেশ অনেকক্ষণ থাকে মিউজিক। এ সময় নায়ক বা নায়িকা হাঁটে, বাসে ওঠে, লিফটে ওঠে, অফিসে যায়... টেনে দিলে অনেকটা সময় এগিয়ে যাওয়া যায় নাটকের৷ পরে আরেকটা অংশ আসে টানার। এ সময় নায়ক নায়িকা ফোনে বা রেস্টুরেন্টে কথা বলে। সেই কথা আমরা শুনি না৷ শুনি মিউজিক। কে বলে দেশে মিউজিকের অবস্থা ভালো না?
তো টানা অনেক নাটক দেখে মনে হইলো, নাটক মূলত তিন ধরনের-
১। নিশো আর মেহজাবিনের নাটক
২। নিশো আর তানজিন তিশার নাটক
৩। নিশো আর অন্যদের নাটক
এইসব নাটকে সাধারণত তিন রকম ঘটনা ঘটে-
১। নিশো আর মেহজাবিন পালায় যায়
২। নিশো আর তানজিন তিশা পালায় যায়
৩। নিশোর সাথে অন্য নায়িকার অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ হয়
নাটকে নিশোর চরিত্র থাকে তিন ধরনের-
১। নিশো বেয়াদব। এলাকার বখাটে ছেলে।
২। নিশো খুব সৎ, প্রতিভাবান, স্পষ্টবাদী ছেলে।
৩। নিশো উদাস। কিছুই বোঝে না। ভাজা কিংবা রান্না করা কোনো মাছ উল্টায় খাবে কী, কোনটা ভাজা কোনটা রান্না সেটা আলাদাও করতে পারে না।
তবে ভিন্ন ধারার নাটক যে নাই, তা না। সেটাও তিন রকম-
১। নিশোর সঙ্গে মেহজাবিনের কঠিন ঝগড়া, শেষে প্রেম
২। নিশোর সঙ্গে তানজিন তিশা/তিশার ঝগড়া, শেষে প্রেম
৩। নিশো আর তার বউ(মেহজাবিন/তানজিন/তিশা)য়ের ছাড়াছাড়ি, শেষে পুনঃর্মিলন।
সমাজের টানাপোড়েন নিয়ে কিছু নাটকও আছে। সেই নাটকগুলাও তিন রকম-
১। নিশো বেকার, ইন্টারভিউ দেয়, চাকরি হয় না।
২। অপূর্ব বেকার, ইন্টারভিউ দেয়, চাকরি হয় না।
৩। তাহসান শিল্পপতির ছেলে। সে ইন্টারভিউ নেয়, চাকরি দেয় মেহজাবিন বা তিশাদের।
এত বড়ো রিসার্চ না করে অবশ্য আরও কয়েকটা নাটক দেখা যাইতো!
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন