খবরটা পড়ার পর আমি খুবই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। ভার্সিটিতে পড়ার সময় এমন অনেক ক্লাসেই আমি উপস্থিত থাকতাম (বন্ধুবান্ধবের অনুরোধে), কিন্তু কী ক্লাস কোন কোর্স কী পড়াইতেছে, কিছুই জানতাম না। এমনকি মাঝে মাঝে পরীক্ষার হলেও উপস্থিত থাকতাম, কিন্তু কী পরীক্ষা, কোন কোর্স, কী সিলেবাস, কিছুই জানতাম না। কোর্স নাম্বারটাও পাশেরজনের কাছ থেকে দেইখা লেখার মতো অবস্থা...
এমন অনেক প্রেজেন্টেশনেও উপস্থিত থাকতাম, তবে কী টপিক গ্রুপ মেম্বার কারা আমি কোন গ্রুপে কী চলতাছে কাহিনী কী কিছুই জানতাম না।
একটা অমিল আছে। এসব নানাবিধ 'না জানা'র কারণে আমাকে অনেক ঝামেলা পোহাইতে হইছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এতসব ঝামেলা নাই। সব স্মুথ।
অমিলের কথা থাক। একটা মিলের কথা বলেই শেষ করি। এত না জানার পরেও স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে আমি ড্রপ আউট হই নাই, কোনোরকমে হলেও পাশ করে বের হয়ে গেছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ইহজগতের কিছুই যদি না জানেন, ড্রপ হবেন না ইনশাল্লাহ। অনন্তকাল পাশ করে বের হয়ে যেতে থাকবেন...
পাঠকের মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে
লগইন