লিচু বাজারে গণনা নিয়ে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে অনিয়ম। ১০০ লিচুতে কখনই ১০০ লিচু থাকে না, থাকে ৮০ টা কিংবা ৯৮টা। এ নিয়ে মানুষের হাজার রকমের অভিযোগের মধ্যেই লিচু বিক্রির নতুন এক উদ্যোগ নিয়ে আসল উগান্ডা ইলেকশন কমিশনের এক সাবেক কর্মকর্তা। কম নয়, বরং ১০০ এর চেয়ে বেশি দিচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ১০০ লিচু কিনলে এই লিচু উদ্যোক্তা দিচ্ছেন ১১৪ টা।
কেন এই বিশেষ উদ্যোগ? এমনটা জানাতে গিয়ে এই লিচু উদ্যোক্তা বলেন, উগান্ডার ইলেকশন কমিশন অফিসে কাজ করার ফলে আমার ভেতর সবকিছু বাড়িয়ে দেয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। লিচুর বাজারে বহুদিন ধরেই অস্থিরতা চলছে। কেউই বেশি দেয় না, কম দেয়। তাই ভাবলাম, আমার যেহেতু বেশি দিয়ে অভ্যাস লিচুর ব্যবসাতেই নামি। দেশের একটা সমস্যার তো অন্তত সমাধান হইলো।
জানা গেছে, বিকেল ৩টা- ৪টা সময়ে মধ্যে লিছু বেশি দেয়ার পেছনেও বিশেষ কারণ আছে। একইভাবে ১৪% নির্ধারণ করাও হয়েছে উগান্ডার একটি ইলেকশন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের উগান্ডায় একবার একটা ইলেকশন হয়েছে। আমি তখন উগান্ডা ইলেকশন কমিশনে কাজ করি। আমাদের সেই নির্বাচনে সারাদিনে মাত্র ২৭% ভোট পড়লেও শেষ এক ঘণ্টা অর্থাৎ বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ১৪ শতাংশ। তাই আমি লাকি আওয়ার হিসেবে এই সময়টা ও লাকি নাম্বার হিসেবে ১৪ বেছে নিয়েছি।