২৬ শে এপ্রিল সারাদেশে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হলো ৪৬ তম বিসিএস পরীক্ষা। বিসিএস পরীক্ষা বাংলাদেশের মানুষের কাছে এমনই এক সোনার হরিণ যা হাজার মানুষের চোখের পানি, খুশি, বিবাহ—একই সাথে বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। মোটকথা, বিসিএসের ক্ষমতা অসীম। কেমন গেলো ৪৬ তম বিসিএস? প্রশ্নপত্রের ব্যাপারে কী ভাবছেন পরীক্ষার্থীরা? আর কেমনই ছিলো হলের পরিবেশ? এ তথ্যগুলো জানার জন্য eআরকির পক্ষ থেকে আমরা গুপ্তচর হিসেবে পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছিলাম এক প্রতিবেদককেও।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে ছিলেন ভীষণ খুশি। ২০০ তে ১৯৫ টি-ই মোটামুটি শিওর হয়ে দাগিয়েছেন তারা। তবে কেউ কেউ ছিলেন বিষণ্ণও। অনেকে বলছেন, একটুর জন্য হয়তো মিস হয়ে যেতে পারে। নাজমুল নামের এক পরিক্ষার্থী বলেন, 'প্রশ্ন পছন্দ হয় নাই, ৭০০ টাকা ফেরত দেন...'
এদিকে অনিক নামের আরেক পরিক্ষার্থীর কাছে তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'বা*র পরীক্ষা। আমার জীবনটাই এমন। যেখানেই যাই সাদাকালো। সাদাকালো সেটের প্রশ্ন খুব কঠিন ছিলো। আমার পাশে গোলাপি সেটওয়ালা দেখি সব খসখস করে দাগাচ্ছে। ওইটা ইজি ছিলো শুনলাম। ওই সেটের প্রশ্ন পাইলে বিসিএস ক্যাডার হয়েই যাইতাম এবার....’
এই বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন তিনি। শুধু তাই নয়, প্রশ্নপত্রের রঙ নিয়ে আরও বিস্তর কাহিনী শোনা যায় পরিক্ষার্থীদের কাছে। ময়মনসিংহের প্রিমিয়ার আইডিয়াল স্কুলের ৩০২ নং রুমের এক পরিক্ষার্থী হল পরিদর্শকের সাথে বাক-বিতন্ডা হয় সেট প্রশ্নের রঙ নিয়ে। পরিক্ষার্থীকে গোলাপী সেটের প্রশ্ন দেওয়া হলে তিনি বলেন, জামার সাথে ম্যাচ করে নীল সেটের প্রশ্নই চান তিনি, না হলে পরীক্ষাই দিবেন না তিনি। এ ঘটনা তুমুল আকার ধারণ করার আগেই ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে স্তিমিত হয়ে যাওয়ায় তেমন মিডিয়া কাভারেজ পায়নি। এ ব্যাপারে সে রুমে উপস্থিত eআরকির প্রতিবেদককে কিছু বলতে বলা হলে তিনি মুচকি হেসে বলেন, 'তাতে আমার কী, আমি তো আসছি নাটক দেখতে....’