অলিম্পিক কিংবা স্পোর্টস ইভেন্টগুলো পৃথিবীর বাকি সবার জন্য শুধুই খেলা হলেও বাংলাদেশি বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বিসিএসের সিলেবাস বেড়ে যাওয়া। সঠিক ও নিঁখুতভাবে এই সিলেবাস শেষ করতে না পারলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন মিস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। ফলে এমন সব টুর্নামেন্ট/ইভেন্ট চললে আতঙ্কেই দিন কাটে তাদের।
টোকিও অলিম্পিকের তথ্য টুকে রাখতে রাখতে ৭২টা খাতা শেষ করা এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় আমাদের। অলিম্পিক শুরুর পর থেকেই ঘুম, নাওয়া, খাওয়া বন্ধ তার। তিনি আমাদের বলেন, 'শুধু যে খেলার জিনিসপাতি টুকে রাখবো তা তো না! খেলোয়াড়, কোচ, অমুক তমুক এরা তো চুপচাপ থাকে না। খেলার আগে পরে এটা সেটা বলে যায়। ওইসবও জোগাড় করতে হয়, যদি আসে...! সেজন্যই ঘুম, নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে দিছি। ঘুমাইলে কিংবা খাইতে গেলে যদি কিছু মিস হয়ে যায়!'
এ সময় নিজের আরও কিছু সংগ্রামের কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, 'এই যে ১৬ বছরের মেয়েটা গোল্ড জিতলো, তার বাবার নাম মায়ের নাম দাদা ও দাদির নাম পর্যন্ত পাইছি, কিন্তু তার পরদাদা আর পরদাদির নাম খুঁজে পাইতেছি না। ওকে নক দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ও নিজেও জানে না। এই তথ্য যে কোথা থেকে পাবো যেই টেনশনে অন্য কিছু পড়তেও পারছি না।'
এত সব তথ্য পাওয়ার জন্য জাপান গেলেও পারেন! আমাদের প্রতিনিধির এমন এক পরামর্শে এই বিসিএসিয়ান আঁতকে উঠে বলেন, 'জাপান কেন যাবো?' টোকিও অলিম্পিক জাপানে হচ্ছে এমন তথ্যে আবারো আঁতকে উঠে এই শিক্ষার্থী বলেন, 'আপনি শিওর? জয়কলিতে তো লিখলো টোকিওতে হইতেছে! তাইলে মেবি ওদের ওখানে ভুল ছিলো। এমপিথ্রিসহ আরো তিনটা গাইড দেইখা জিনিসটা শিওর হইতে হবে। তাও আপনার ইনফরমেশনটা টুকে রাখি, যদি আসে।'