গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্স-২০২০ অনুযায়ী শিক্ষা, প্রযুক্তি, উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে দক্ষিন এশিয়ায় সবার নিচে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। গত ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম নলেজ ফাউন্ডেশন কর্তৃক যৌথভাবে প্রকাশিত এক সূচকে এই চিত্র উঠে এসেছে।
এদিকে এই প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিসিএস পরীক্ষার্থী পরিষদ (বাবিপপ)।
বাবিপপ-এর সভাপতি বশির উদ্দিন যিনি বিসিএস বশির নামে পরিচিত তিনি বলেন, 'পৃথিবীতে জ্ঞান বিজ্ঞানে আমরাই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছি। বিজ্ঞান, গণিত, ভুগল, আন্তর্জাতিক, সাহিত্য, ব্যাকরণ ইত্যাদি সব বিষয়ে অগাধ জ্ঞান সারা পৃথিবীতে কেবল বাংলাদেশি তরুণদেরই আছে।'
জাতিসংঘের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের তরুণরা জাতিসংঘ সম্পর্কে এমন সব তথ্য সাল-তারিখসহ মুখস্ত বলে দিতে পারবে, যেসব তথ্য হয়তো জাতিসংঘ মহাসচিবও জানেন না। এগুলো তো সোজা কথা নয়।'
জাতিসংঘ মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'এমপিথ্রি বইয়ের ১৬৭ নং পৃষ্ঠায় পড়েছি, আপনারা নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আজ যদি বিসিএস এর মাধ্যমে মহাসচিব নিয়োগ হতো তাহলে বুঝতেন কত ধানে কত চাল। বুঝতেন কার মেধা বেশি, আপনার, নাকি আমাদের?'
মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম নলেজ ফাউন্ডেশনকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বিসিএস বশির। তিনি বলেন, 'রশিদ আল মাকদুম, যার জন্ম তারিখ ১৬ জুলাই ১৯৪৯, যিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী এবং রাশিদ বিন সাইদ আলমাকতুমের চতুর্থ পুত্র, যার দাদার নাম সাইদ বিন মাকতুম এবং দাদীর নাম শেখ হেসা বিনতে আল মুর বিন হুরাইজ আল ফালাসি, তাঁকে আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ আর আরব আমিরাতের দুরত্ব মাত্র ৩,৭০৯ কি.মি.। আসুন একবার বাংলাদেশে, দেখুন আমাদের ছেলেগুলোকে, তারপর বুঝবেন কে বেশি মেধাবী, আমরা না আপনারা?'
দুই দেশের দুরত্ব, রশিদ আল মাকতুমের পারিবারিক বৃত্তান্ত কীভাবে জানেন, জিজ্ঞেস করলে বিসিএস বশির বলেন, 'এগুলো ৪৩ বিসিএস প্রিলির জন্য খুব ইম্পোর্টেন্ট। তাই মুখস্ত করে রেখেছি।'
ইউএনডিপি ও মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম নলেজ ফাউন্ডেশনের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, 'ভুলে যাবেন না, হায়াত মাহমুদের ব্যকরণ বইতে লেখা আছে, অতি বাড় বেড়োনা, ঝড়ে পড়ে যাবে। আপনারা এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করে ক্ষমা না চাইলে বাংলাদেশ বিসিএস পরীক্ষার্থী পরিষদ (বাবিপপ) কঠোর আন্দোলনে নামবে।'
নবম দশম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের বাগধারা উদ্বৃত্ত করে তিনি বলেন, 'তখন কিন্তু আপনারা "অকুল পাথারে" পড়বেন, কেঁদেও কুল পাবেন না। এমপিথ্রি গাইডের সেই কথাটি ভুলে যাবেন না, সময়ের এক ফোঁড়, অসময়েত দশ ফোঁড়।'
কবে নাগাদ আন্দোলন হতে পারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, '৪৩ বিসিএস এর সার্কুলার দিয়েছি। আপাতত আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে এমপিথ্রি, জর্জ, আজকের বিশ্ব, ম্যাজিক মন্ডল, ডাইজেস্ট ইত্যাদি পুস্তক নিয়ে গবেষণায় ব্যাস্ত আছি। প্রিলির পরেই আমরা কঠোর আন্দোলনে নামবো।'