সম্প্রতি জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি, ও এইচএসসি ১ ডিসেম্বর থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর আগে পরীক্ষার্থীদের যে অ্যাসাইনমেন্ট করতে দেওয়া হয়েছিলো, এর থেকে কোন নাম্বার যোগ হবে না। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ‘রিফান্ড আন্দোলন’-এর ডাক দিয়েছে ভুক্তভোগী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।
মোস্তফা (১৮) নামের নটরডেম কলেজের একজন শিক্ষার্থী জানায়, ‘ভাই, ৩২৮ টাকা খরচ হইছে এই A4 কাগজ আর জেল পেন কিনতে কিনতে। অথচ এই টাকায় ৩০ জিবি কিনতে পারতাম। কতগুলা ফিফা ম্যাচ খেলতে পারতাম, সেই হিসাব আছে? ৩২৮ টাকা ক্যাশব্যাক না দিলে কোনোভাবে জাস্টিস হবে না... কেয়ামতের দিন পইপই করে দীপুমনি আপাকে এই হিসাব দিতে হবে.....”
অন্যদিকে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন নীলক্ষেতের অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, অনেকেরই এখনও পেমেন্ট বাকি। একজন ব্যবসায়ী জানান, 'সব সাবজেক্টের অ্যাসাইনমেন্ট লেইখা দিলাম, পাঁচ হাজার দিবে। তিন হাজার দিয়া দুই হাজার টাকা বাকি রাখছিলো। এখন কয় নাম্বার যোগ হইবো না। তাইলে কি আর পোলাপান টাকা দিবো? এই সিদ্ধান্ত মানি না। নাম্বার যোগ হোক না হোক আমগো বাকি টাকা যোগ হইতে হইব।'
অন্যদিকে সুজনের বায়োলজি অ্যাসাইনমেন্ট করে দিয়েছিল গার্লফ্রেন্ড তানিয়া। অ্যাসাইনমেন্টের নাম্বার যোগ হবে না শুনে 'খালি খালি আমারে দিয়া এমন কষ্ট করাইছ' বারবার এই বলে চিৎকার করে তানিয়া থ্রেট দিচ্ছে ব্রেকাপ করার। এতে বেশ বিপাকে পড়েছেন সুজন (১৬)। পাবজি খেলার এক ফাঁকে eআরকিকে তিনি জানান, 'মহামুসিবতে পড়লাম। নাম্বার যোগ হওয়ার সিদ্ধান্ত কি আমার হাতে নাকি? ক্লাস ফাইভে পড়া মেয়ের সাথে প্রেম করতে গেলে এমনই হয়।'
কথায় কথায় সুজন আরও জানালেন, তার সম্ভাব্য ব্রেকআপের কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীর উপরই নির্ভর করছে তার প্রেমের ভবিষ্যৎ...