জমজমাট ভাবে শেষ হলো আম্বানিপুত্রের প্রি ওয়েডিং অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাকারবার্গ, বিল গেটস থেকে শুরু বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিরা। আপাতদৃষ্টিতে সবকিছু চমকপ্রদ মনে হলেও ভেতরের কাহিনী রয়ে গেছে ভেতরেই। আমাদের এক প্রতিনিধি বিয়েতে দাওয়াত পাওয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের গল্প।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিনিধি বলেন, ‘২ মার্চের কাহিনী। দ্বিতীয় ব্যাচে যারা খাইতে বসলো ওদের বেশিরভাগেরই মন মেজাজ খারাপ ছিলো। একজন বললো রোস্টে লবণ কম, একজন বললো সবজিতে মসল্লা বেশি, তবে সমস্যা শুরু হইছে খাসির মাংস দেওয়ার পরে। টেবিলের একপাশে ছিলো বরপক্ষ, অন্যপাশে মেয়েপক্ষ। খাসির ডালা মাঝখানে রাখা হইলেও মেয়ের ফুপা আর ছেলের চাচা, মানে মুকেশ আম্বানির ভাই টানাটানি শুরু করে। আরেকটা খাসির ডালার আনার প্রস্তাব দেওয়া হইলেও তারা দুইজনের কেউই রাজী হয় নাই...’
মূল সমস্যাটা কোথায় ছিলো এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিনিধি জানান, ‘প্রথমে মেয়ের ফুপা পাঁচ টুকরা খাসির মাংস নেওয়ায় তার প্লেটের দিকে তাকায়া ছিলো আম্বানির ভাই ছোট আম্বানি। তাকায়ে থাকা নিয়েই শুরু। পরবর্তীতে তা শেষ হয় গালাগালি এবং হাতাহাতিতে।'
মেয়ের ফুপা বলেন, ‘এমন ছোটলোক আর দেখি নাই। ব্যাংকভর্তি টাকার সাথে মনটাও বড় হওয়া লাগে। পাঁচ টুকরা মাংস নেওয়াতেই মুড দেখায়। আরে ব্যাটা তোর কি অভাব পড়ছে নাকি? তুই নে আরও পাঁচ গামলা। আমার প্লেটে তাকাবি কেনো? তার উপরে হয় নাই মাংস সিদ্ধ। আমার একটা দাঁত অলরেডি নড়তেছে....’
এদিকে ছোট আম্বানি বলেন, ‘অপচয়কারী শয়তানের ভাই। এত বিলাসীতা করলে আমরা আম্বানি হইতে পারতাম না। আরে পাঁচ টুকরা কেনো, পাঁচশো টুকরা খা ব্যাটা, একটা একটা করে খান। গিলে গিলে খাবি কেনো?’
হাতাহাতি শুরুর পর্যায়ে গুরুতর কিছু না ঘটলেও পরবর্তীতে মুরগীর লেগ পিস, নীহারি একে অপরের দিকে ছুড়ে মারেন একপক্ষ আরেক পক্ষকে উদ্দেশ্য করে। এতে করে আহত হন অনন্ত আম্বানীর ছোট ফুপু।
এ ব্যাপারে আম্বানী পরিবার বলেন, ‘ কয়েকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোক দাওয়াত দেওয়া উচিত ছিলো। ভুল হয়ে গেছে...’