২৪তম জন্মদিনে ২৪টি কেক, নুপুর, চিপস ইত্যাদি গিফট দেওয়ার একটি পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বাংলাদেশের নারীমহলে মোটামুটি ঝড় উঠেছে বলে জানা গেছে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুরুষ সমিতি (বাপুস)।
এই পোস্টের পর স্ত্রীদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। ইনকাম ও জন্মদিনের গিফটের খরচ সমানুপাতিক না হওয়ায় অনেককেই কড়া সুদে ঋণ নিতে হচ্ছে৷ ঘরবাড়ি বন্ধক রাখার দিকেও এগোচ্ছে অনেকে। তাও সংসারে কাঙ্ক্ষিত শান্তি বজায় থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তারা৷ এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর কাছে স্ত্রীর জন্মদিনে পালনের জন্য ক্ষুদ্রঋণ চালু করার দাবি জানিয়েছে বাপুস৷
বাপুসের সভাপতি এ বিষয়ে জানান, 'কাল আমার বউয়ের জন্মদিন৷ ওর আসল বয়স ৪৮ হলেও সার্টিফিকেটে ৪০, ও দাবি করে ৩৫। তবুও তো ৩৫টা কেকসহ অন্যান্য জিনিসপাতি লাগবে৷ এই মুহূর্তে ব্যাংক লোন৷ ছাড়া তো আমার সংসার টিকবে না!'
বাপুসের সভাপতির সাথে গলা মিলান অন্যরাও। ব্যাংকগুলো প্রতি অর্থবছরে অনেক ঋণ দিতে পারবে, এমন লোভ দেখিয়ে ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্যে একজন বলেন, 'জিনিসপত্রের যা দাম, দেশের সব পুরুষেরই আসলে ঋণ নেয়া লাগবে৷ এরমধ্যে অনেকের বউ আছে প্রেমিকা আছে। অতি আবিদারে শ্যালিকা বা প্রেমিকার বান্ধবিও যদি এই সংখ্যাতত্ত্ব জন্মদিনের আবদার করে বসে! ভেবে দেখেন ভাইয়েরা, লাভ তো আপনাদেরই।'
এদিকে পিরোজপুরের ফিরোজ নামের একজন জানালেন, 'রিকশা দিয়ে যাতায়াত এবং অফিসের মধ্যে চা নাস্তা খাওয়া বাদ দিছি। সিগারেটও অর্ধেক কিনে খাই, বাকি অর্ধেক দোকানদারকে দেই। লক্ষ্য একটাই, স্ত্রীকে ৬০ তম জন্মদিনে ৬০টা মেশিন (সেলাই) দিতে চাই, তবুও তো টাকা ম্যানেজ হচ্ছে না৷ লোনের ব্যবস্থা করেন আপনারা। কিডনি, চোখ, যকৃত কিংবা বউরে বন্ধ রাইখা হলেও লোন নিমু।'