সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে এসি ঠিকভাবে কাজ করে, এমন ইউনিভার্সিটিগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শতভাগ। আগে হ্যারিকেন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যেত না—এমন শিক্ষার্থীরাও এখন নিয়মিত ক্লাস করছে। সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে যে, শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, ফাঁকিবাজ শিক্ষকরাও এখন নির্ধারিত সময়ের আগেই হাজির হয়ে যাচ্ছেন ইউনিভার্সিটিতে।
তবে পড়াশোনা না, সমীক্ষায় শিক্ষার্থীদের এই শতভাগ উপস্থিতির একমাত্র কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে এসিকে। এই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মিথ্যা বলে লাভ কী? বিদ্যার্জনের জন্যে নিয়মিত ক্লাস করবে—এমন পাগল এই দেশে নাই। গরমের ঠেলায় বাসায় টিকতে পারি না। তাই ক্লাসে এসে বসে থাকি। কারণ আমাদের ক্লাসে আছে এসি।‘
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি ক্লাসফ্লাসের ধার ধারি না। এসি যেখানে, আমিও সেখানে। ক্লাসে এসি আছে, তাই আমি ক্লাসে আসি।‘
এসি আছে—এমন ভার্সিটিগুলো শীক্ষার্থীদের চাপ সামাল দিতে যথেষ্টই হিমশিম খাচ্ছে। এমনটা কেন হচ্ছে জানতে চাইলে উত্তর-পূর্ব ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, ‘যত সিট তত শিক্ষার্থী এলেও কথা ছিল। কিন্তু এখন সমীক্ষার নাম করে প্রতিদিনই আপনাদের মতো লোকজনরা এসে ক্লাসে ঢুকে যায়, আর বের হয় না। এতে করে শিক্ষার্থীদের এসির বাতাস খাওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আমি আশা করব আপনারা ভার্সিটির পাশাপাশি বিভিন্ন শপিং-মল, শো-রুম ইত্যাদি জায়গাতেও যাবেন। এতে আমাদের উপর চাপ কমবে।‘